মাদারীপুরের শিবচরে পদ্মা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি স্পিডবোটচালক শাহ আলম মিয়াকে গ্রেফতার করেছে নৌপুলিশ।
সোমবার (১৭ মে) দুপুরে তাকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।
শাহ আলম মিয়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ভাতা ঈদগাহপুর এলাকার আবুল কালামের ছেলে।
নৌপুলিশের কাঁঠালবাড়ি ঘাটের পরিদর্শক আব্দুর রাজ্জাক জানান, গত ৩ মে সকালে ঘাটে নোঙর করে রাখা বালুবোঝাই বাল্কহেডের সঙ্গে শিমুলিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে স্পিডবোটটি ডুবে যায়। পরে বোটে থাকা ২৬ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নৌপুলিশের এসআই লোকমান হোসেন বাদী হয়ে শিবচর থানায় স্পিডবোটের চালক শাহ আলম মিয়া, দুই মালিক চান্দু মিয়া ও রেজাউল এবং ঘাটের ইজারাদার শাহ আলম খানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত একাধিক ব্যক্তির নামে মামলা করেন।
দুর্ঘটনার পর থেকে স্পিডবোটচালক শাহ আলম মিয়া গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রোববার (১৬ মে) বিকেলে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দিলে নৌপুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। রাত ৮টার দিকে গ্রেফতার শাহ আলমকে শিবচর থানায় হস্তান্তর করা হয়। এর আগে স্পিডবোটের মালিক চান্দু মিয়াকে র্যাব ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে। মামলার পর এখন পর্যন্ত দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, দুর্ঘটনার পর স্পিডবোটচালক শাহ আলমকে গুরুতর অবস্থায় শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। প্রশাসনের নির্দেশনায় তার ডোপ টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রাখা হয়। পরে তার ডোপ টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এ ঘটনায় জেলা প্রশাসন থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সেই তদন্ত প্রতিবেদনে চালক মাদকাসক্ত হওয়ায় পদ্মায় স্পিডবোট দুর্ঘটনায় ২৬ জনের প্রাণ গেছে বলে জানানো হয়।
মাদারীপুর কোর্ট পুলিশের ইন্সপেক্টর রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, স্পিডবোট দুর্ঘটনার মামলায় চালক শহ আলমকে সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে মাদারীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. সাইদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়। আসামি অসুস্থ থাকায় তাকে কারাগারে রেখে চিকিৎসার আদেশ দেন আদালত।