রাজধানীর পল্লবীতে শাহীন উদ্দিন (৩৩) নামের এক যুবককে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান এম এ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলা থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘গত ১৬ মে পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের ৩১ নম্বর রোডে সাত বছরের সন্তানের সামনে শাহীন উদ্দিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আকলিমা বেগম বাদী হয়ে লক্ষ্মীপুরের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। এ মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে এম এ আউয়ালকে। আজ ভোরে তাঁকে ভৈরব থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে ঘটনার পরদিনই আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’
খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, ‘প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার এবং এ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিকেল ৪টার দিকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।’
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৬ মে বিকেল ৪টার দিকে সুমন ও টিটু নামের দুই যুবক শাহীন উদ্দিনকে জমির বিরোধ মেটানোর কথা বলে ফোন করে ডেকে নেন। শাহীন মোটরসাইকেলে পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর সড়কের ৪০ নম্বর বাসার সামনে পৌঁছালে সুমন ও টিটুসহ ১৪ থেকে ১৫ জন মিলে তাঁকে টেনে-হিঁচড়ে ওই বাড়ির গ্যারেজে নিয়ে যান। এ সময় শাহীনের সাত বছরের ছেলে মাশরাফি গেটের বাইরে ছিল। গ্যারেজে ঢুকিয়ে শাহীনকে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, রামদা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন তাঁরা। এরপর তাঁকে ওই বাড়ি থেকে বের করে ৩৬ নম্বর বাড়ির সামনে ফের কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যান তাঁরা।