তিন জেলায় বজ্রপাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সময় বজ্রপাতে জামালপুরে ছয়জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে তিনজন ও সিলেটে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আমাদের জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
জামালপুর: জামালপুরের ইসলামপুরে পৃথক বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার পাথর্শী, গাইবান্ধা, সাপধরী ও পলবান্ধা ইউনিয়নে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সময় বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। এসব ঘটনায় আরও পাঁচজন আহত হয়েছেন।
নিহতরা হলেন- পাথর্শী ইউনিয়নের জারুলতলা এলাকার এনামুল, কালা শেখ ও শাহ জামাল; সাপধরী ইউনিয়নের প্রজাপতির চর এলাকার বিল্লাল; গাইবান্ধা ইউনিয়নের চন্দনপুর গ্রামের মফিজল হক এবং পলবান্ধা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাটিকামারী গ্রামের জাবেদ আলী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিকেলে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাত শুরু হয়। বৃষ্টির মধ্যে মাঠে কাজ করার সময় উপজেলার চার ইউনিয়নে পৃথক বজ্রপাতে এ ছয়জনের মৃত্যু হয়। এ সময় এক নারীসহ আরও পাঁচজন আহত হন। আহতদের ইসলামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ইসলামপুর থানার ওসি মাজেদুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ: চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও নাচোল উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পৃথক বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়। শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন ও নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়নের আব্দুস সাত্তারের ছেলে কৃষক মো. জালাল উদ্দিন (৩৭), চাঁদপুরের আবু তালেবের স্ত্রী রহিমা খাতুন এবং নাচোল উপজেলার আঝোইড় গ্রামের ওবাইদুর রহমানের মেয়ে মারুফা খাতুন (০৯)।
শিবগঞ্জ উপজেলার মোবারকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তৌহিদুর রহমান মিঞা জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার দিকে মোবারকপুর গ্রামের একটি বিল থেকে ধান কেটে বাড়ি ফেরার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই জালালের মৃত্যু হয়।
শিবগঞ্জ থানার ওসি ফরিদ উদ্দীন জানান, গৃহবধূ রহিমা খাতুন ঝড়ের সময় আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়। এদিকে নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশে আম কুড়াতে গেলে বজ্রপাতে শিশু মারুফা খাতুনের মৃত্যু হয়।
সিলেট: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বজ্রপাতে বাবুল মিয়া (৩৩) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি মারা যান। নিহত বাবুল উপজেলার কাকুনাখাই গ্রামের মৃত আব্দুল হকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, সকালে বৃষ্টির মধ্যে জমিতে কাজ করছিলেন বাবুল। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে স্থানীয়রা তার মরদেহ উদ্ধার করে।
গোয়াইনঘাট থানার ওসি আব্দুল আহাদ বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। নিহতের স্বজনদের কাছে ময়নাতদন্ত ছাড়াই মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।