জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) বলেছেন, ‘বিদেশি টিকা আমদানি ও উৎপাদনে ব্যাপক উৎসাহ থাকলেও দেশিয় টিকা উৎপাদনে সহায়তা নেই মন্ত্রণালয়ের। এ কারণেই ৩ মাস পার হলেও দেশে তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা ‘বঙ্গভ্যাক্স’ ট্রায়ালের অনুমতি পাচ্ছে না।’
শুক্রবার এক বিবৃতিতে জিএম কাদের বলেন, ‘১৯৮২ সালে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওষুধ নীতি তৈরি করেন। তখন চাহিদার মাত্র ১৬ ভাগ ওষুধ দেশে তৈরি হতো। ওষুধ নীতির ফলে চাহিদার প্রায় ৯৭ ভাগ মিটিয়ে দেশে তৈরি ঔষধ বর্তমানে শতাধিক দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বাংলাদেশেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বিশ্বমানের অনেক ওষুধ কোম্পানি।’
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর বিশ্বসেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশের গ্লোব বায়োটেক করোনা টিকা বঙ্গভ্যাক্স উৎপাদন করে। প্রাণীদেহে এন্টিবডি তৈরিতে সফল হয়েছে এক ডোজের বঙ্গভ্যাক্স। ইতোমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বঙ্গভ্যাক্সকে করোনা প্রতিরোধে তালিকাভুক্ত করেছে। বঙ্গভ্যাক্স’র গবেষণাপত্র যুক্তরাষ্ট্রের মেডিকেল জার্নাল ‘ভ্যাকসিন’ এ প্রকাশিত হয়েছে। বঙ্গভ্যাক্স’র কোডিং সিকোয়েন্স যুক্তরাষ্ট্রের এনসিবিআই ডাটাবেজ- সংরক্ষিত হয়েছে। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন প্লাটফর্ম বায়োআর্কাইভে প্রকাশিত হয়েছে বঙ্গভ্যাক্স’র গবেষণাপত্র। আবার ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য টিকা উৎপাদনে অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ঔষধ প্রশাসন। কিন্তু বাংলাদেশ মেডিকেল রিচার্স কাউন্সিলের তরফ থেকে অজানা কারণে অনুমোদন ঠেকিয়ে রাখা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে আছে বঙ্গভ্যাক্সের ট্রায়াল। অথচ বঙ্গভ্যাক্স সফল হলে টিকা সংকটকালে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি সম্ভব হবে। তাই বঙ্গভ্যাক্স এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমতি দেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।’