সাংবাদিক রোজিনার অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি চেয়েছে কমনওয়েলথ জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (সিজেএ), বাংলাদেশ।
শনিবার সংগঠনটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
সিজেএ, বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট পারভীন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল শ্যামল দত্ত স্বাক্ষরিত ওই বিবৃতিতে উপনিবেশিক আমলের অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে দৈনিক প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার ও হয়রানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, কোভিড ১৯ মহামারি ব্যবস্থাপনায় সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ব্যর্থতা ও দুর্নীতি-জালিয়াতির বিরুদ্ধে প্রতিবেদনের জন্য রোজিনা ইসলাম একজন সুপরিচিত সাংবাদিক। গত সোমবার তিনি পেশাগত কাজে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে কিছু কর্মকর্তা অবৈধভাবে প্রায় ছয় ঘন্টা ধরে সচিবালয়ের একটি কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। এ সময় রোজিনা ইসলাম শারীরিক ও মানসিকভাবে হয়রানির শিকার হন। তিনি এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। কিন্তু সচিবালয়ের ওই কর্মকর্তারা রোজিনা ইসলামকে হাসপাতালে নেওয়ার পরিবর্তে পুলিশে সোপর্দ করেন। পরে জামিন আবেদনের শুনানি মুলতুবি রেখে কারাগারে পাঠানোর আগে রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দমনমূলক আইনের অধীনে মামলা করেন তারা।
রোজিনার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগের প্রত্যাখানের পাশাপাশি ওই বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের কক্ষে তাকে অবরুদ্ধ রেখে হয়রানির সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছে সিজেএ, বাংলাদেশ। সিজেএ, বাংলাদেশ মনে করে রোজিনা ইসলামের গ্রেপ্তারের ঘটনা সংবাদপত্রের স্বাধীনতার জন্য হুমকিস্বরূপ এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।