সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে জামিন দেওয়ার আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ এক পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সাংবাদিক রোজিনাকে আরও দায়ীত্বশীল হতে হবে। তাকে পেশাগত দায়িত্বপালনে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি এও বলেন, গণমাধ্যমের কারণে সব প্রতিষ্ঠানকে আরও দায়িত্বশীল আচরণ করতে হয়। গণমাধ্যম ও গণতন্ত্র একে অপরের অনুষঙ্গ। আদালত ও গণমাধ্যম একে অপরের বাধা হিসেবে কাজ করে না। বরং পরিপূরক হিসেবে কাজ করে।
এসময় রাষ্ট্রপক্ষ ও রোজিনা ইসলামের আইনজীবীদের উদ্দেশে বিচারক বাকী বিল্লাহ বলেন, সাংবাদিক রোজিনাকে আরও দায়ীত্বশীল হতে হবে। তাকে পেশাগত দায়িত্বপালনে আরও সতর্ক হয়ে কাজ করতে হবে।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকা মেট্রোপলিটন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আবদুল্লাহ আবু বলেন, আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আদালত রোজিনা ইসলামের পাসপোর্ট বা মুচলেকা নিয়ে যদি জামিন দেন, তাহলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
রোজিনা ইসলামের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার সাংবাদিকদের বলেন, আদেশের নথিতে বিচারকের স্বাক্ষর হওয়ার পর যথাযথ প্রক্রিয়া শেষ করা হবে। এরপর সব কাগজপত্র যাবে কারাগারে। তখন মুক্তি পাবেন সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। আমরা ধারণা করছি, বিকেল নাগাদ মুক্তি পেতে পারেন তিনি।
রোববার সকাল পৌনে ১১টার দিকে পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকা এবং পাসপোর্ট জমা দেওয়ার শর্তে প্রথম আলোর সিনিয়র রিপোর্টার রোজিনা ইসলামের জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বাকী বিল্লাহ।