বজ্রপাতে দেশে প্রাণহানি বাড়ছেই। সোমবারও তিন জেলায় বজ্রপাতে ১১ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। এর মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জে পাঁচজন, সিরাজগঞ্জে চারজন এবং চট্টগ্রামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
আমাদের চট্টগ্রামের নিজস্ব প্রতিবেদক এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধির পাঠানো খবর তুলে ধরা হলো-
চাঁপাইনবাবগঞ্জ : বিকেলে জেলার তিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রপাতে পাঁচজন মারা গেছেন। এরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের নামোহড়মা গ্রামের এনামুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৭) ও কালীনগর সাবানিয়াপাড়া গ্রামের আশরাফুল হকের ছেলে আলামিন (১৩), রহনপুর পৌর এলাকার হুজরাপুর মহল্লার বিপ্লবের মেয়ে খুশি (১২) ও গোমস্তাপুর ইউনিয়নের লালকোপড়া গ্রামের নাজমুলের মেয়ে সাদিয়া (১০) এবং ভোলাহাট উপজেলার কৃষ্ণপুর হাড়িয়াবাড়ি গ্রামের আকালু হাজির ছেলে আজিজুল হক (৫৫)।
গোমস্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার দাস বজ্রপাতে দুই শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
সিরাজগঞ্জ : বিকেলে শাহজাদপুর উপজেলার চিথুলিয়া, দুগলি ও উল্লাপাড়া উপজেলার কৃষ্ণপুর এলাকায় বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হলেন- শাহজাদপুর উপজেলার গালা ইউনিয়নের দুগলি গ্রামের আজম ব্যাপারীর ছেলে নাজমুল (১৫), কায়েমপুর ইউনিয়নের চিথুলিয়া গ্রামের আজগর আলীর ছেলে হাসেম আলী (২৫) ও সোলাইমান মোল্লার স্ত্রী ছাকেরা বেগম (৫৬) এবং উল্লাপাড়া উপজেলার পশ্চিম কৃষ্ণপুর গ্রামের মো. মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মোহনা খাতুন (১৭)।
শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ মো. শামসুজ্জোহা বজ্রপাতে চারজন নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
চট্টগ্রাম : ভোরে আনোয়ারা উপজেলার বটতলী ইউনিয়নের পশ্চিম বরৈয়া গ্রামের একটি বিলে ইলিয়াছ (৫০) ও কাসেম (৪০) নামে দুই নির্মাণ শ্রমিক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম দিদারুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় কাজ শেষে তারা গ্রামের একটি চায়ের দোকানে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে বিলের মধ্যে বজ্রপাতে নিহত হন। পরে ভোরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।