প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২ তম জন্মবার্ষিকী আজ।
১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১৭ই জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন বাঙালির সাম্যবাদী চেতনার পথ প্রদর্শক কাজী নজরুল ইসলাম।
প্রতিবন্ধকতার দেয়াল ভেঙে এগিয়ে চলাই ছিল তার জীবনমন্ত্র। বাঙালির প্রেম ও বিরহে, বিদ্রোহ-বিপ্লবে তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন আশাবাদের প্রতিক হয়ে।
রুটির দোকানের কারিগর, লেটোরদলের শিল্পী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সৈনিক, সাংবাদিকতা কিংবা কারাবন্দী জীবনে রাধুনীর কাজ। জীবনের সব প্রতিকুলতা জয় করে বিদ্রোহের দাবানলে পুড়িয়ে দিয়েছেন সব অচলায়তনকে।
প্রায় চার হাজার গান, ১২টি কাব্য গ্রন্থ, চারটি উপন্যাস ছাড়াও নাটক, চলচ্চিত্রসহ শিল্পকর্মের নানা মাধ্যমে আমৃত্যু সাম্য আর ভাতৃত্বের জয়গান গেয়েছেন বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাতিঘর কাজী নজরুল ইসলাম।
সংগীত শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল বলেন,’আমাদের জাতীয় কবির যে জীবন দর্শন, মানুষ মানুষকে ভালোবাসবে, বর্তমান সময়ে আমরা যে অস্থিরতা দেখি, সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে হলে তাকে আমাদের ধারণ করতে হবে।’
একদিকে রচনা করেছেন ইসলামি সঙ্গীত, অন্যদিকে শ্যামা সঙ্গীত আর কীত্তনে মাতিয়েছেন বাঙালি হৃদয়।
তাই সব প্রতিকূলতার মধ্যেও বিশ্বের নিপীড়িত মানুষকে বিদ্রোহের মশাল হয়ে আজও পথ দেখিয়ে যান বাংলাদেশের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।