করোনাভাইরাস প্রতিরোধে বঙ্গসেফ ওরো-ন্যাজাল স্প্রের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। এই ট্রায়াল সন্তোষজনক বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস (বিআরআইসিএম)।
গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বিআরআইসিএম জানায়, গবেষণা প্রটোকলটি বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিলে (বিএমআরসি) রেজিস্ট্রেশন করার পর সেখানকার ইথিক্যাল কমিটির ছাড়পত্র পায়। এরপর বৃহত্তর পরিসরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতালে এর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন করা হয়। এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলাফল অত্যন্ত সন্তোষজনক। গত ১৮ মে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের রিপোর্ট বিএমআরসিতে জমা দেওয়া হয়।
এ গবেষণার নেতৃত্ব দিচ্ছেন নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ডা. মোস্তফা কামাল আরেফিন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে নাক, কান ও গলা বিভাগের অধ্যাপক ডা. শেখ নুরুল ফাত্তাহ রুমি ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সুলতানা সাহানা বানু এ গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টসের (বিআরআইসিএম) মহাপরিচালক ড. মালা খান এ গবেষণা কার্যক্রম বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে পরিচালনা নিশ্চিত করেন। তার তত্ত্বাবধানে, বিজ্ঞানীদল এই ওরো-ন্যাজাল স্প্রের গুণগত মান, স্ট্যাবিলিটি, নিরাপদ ব্যবহার ও গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করেছে। গবেষণার যাবতীয় ব্যয় বহন করেছে বিআরআইসিএম।
সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে উৎপাদন করা গেলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী এই স্প্রেটি লাভ ছাড়া অর্থাৎ উৎপাদন খরচে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।