ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের জলোচ্ছ্বাসে বাগেরহাটের মোংলায় ঘরবাড়ি, পুকুর, চিংড়ি ঘের ডুবে এক কোটি ৩৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৬২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার।
ইয়াসের প্রভাবে গত দুই দিনের প্লাবনে এ ক্ষয়ক্ষতি হয়। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার।
তিনি জানান, জলোচ্ছ্বাসে মোংলা এলাকার ৫৫০টি ঘর, এক হাজার ৯০টি চিংড়ি ঘের, ২৫০টি পুকুর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন প্রায় তিন হাজার মানুষ।
এদিকে, শুক্রবার মোংলার উপকূলে জোয়ারের পানি বেড়েছে। জোয়ার পানিতে আজও ডুবে গেছে মোংলার কানাইনগর, চিলা, জয়মনি, বিদ্যারবাহন, শেলাবুনিয়াসহ ১০-১২টি গ্রাম।
এছাড়া জলোচ্ছ্বাসে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই ও শরণখোলা রেঞ্জে ৬২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন জানান, এই বিভাগের ২০টি জেটি, ১১টি নৌযান, ৬টি অফিস, ৭টি ব্যারাক, ২৪টি রাস্তা, ১১টি পুকুর, ২টি ফুট ট্রেইলার, ১টি ওয়াচ টাওয়ার, ২টি গোলাঘর, ১১টি কুমিরের প্যান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এছাড়া ৪টি হরিণ মারা গেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরো ২টি হরিণ। তবে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বাড়তে পারে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘এটি প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। এ বিভাগের দুই রেঞ্জ কর্মকর্তাকে ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা পরিপূর্ণ রিপোর্ট দেয়ার পর বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে।’