বিএনপির প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের বেশির ভাগই জিয়াউর রহমানের ভাড়া করা রাজনীতিবিদ মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, তাদেরই একজন হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম।
রবিবার সচিবালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শুধু যুক্ত ছিল তা নয়, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে-বিদেশে পুনর্বাসিত করেছিল, বিদেশি দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার না হওয়ার জন্য সংসদের ইনডেমনিটি বিল পাস করেছিল।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে জিয়াউর রহমান ও তার পরিবার। জিয়া ক্ষমতা দখল করার পর ক্ষমতাকে নিষ্কটক করার জন্য সশস্ত্র বাহিনীর হাজার হাজার জোয়ান ও অফিসারকে হত্যা করেছিল। দিনের পর দিন কারফিউ দিয়ে দেশে কাউফিউতন্ত্র কায়েম করেছিল, এরপরও জিয়া নিজে রক্ষা পাননি। যে সেনাবাহিনীকে ব্যবহার করে ক্ষমতা দখল করেছিলেন সেই সেনাবাহিনীর হাতেই হত্যার শিকার হন। এভাবে হত্যা করে নিজে রক্ষা পায় না সেটার প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমানের হত্যাকাণ্ড।
বিএনপির জন্ম ‘অবৈধভাবে’ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির যেসব রাজনীতিবিদ আজ উচ্চ গলায় কথা বলেন, এদের বেশির ভাগই জিয়াউর রহমানের ভাড়া করা রাজনীতিবিদ। তারা অন্য দল করতেন। বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে জিয়াউর রহমান দল গঠন করেছিলেন।
‘বিএনপির প্রথম সারির রাজনীতিবিদদের বেশির ভাগই হচ্ছে ভাড়া করা রাজনীতিবিদ। তাদেরই একজন হচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম। ’
আওয়ামী লীগ দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে এবং অন্য দলের মত প্রকাশের অধিকার নেই- বিএনপি নেতাদের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ফখরুল বলেছেন কথা বলার অধিকার নেই। সকালে একবার সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদগার করেন, বিকেলে একবার বিষেদগার করেন। আর বলেন কথা বলার কোনো অধিকার নেই। এটা হাস্যকর। সরকার ভয়ের রাজত্ব কয়েম করেছে বলে ফখরুল দাবি করেছেন। বাংলাদেশে যেভাবে অবাধে মানুষ মত প্রকাশ করছে এবং বিএনপির নেতারা যেভাবে সকাল, বিকেল, সন্ধ্যা বেলা সরকারের বিরুদ্ধে বিষেদগার করছে, দেশ-বিদেশ থেকে যেভাবে অমূলক সমালোচনা করা এটি অন্য কোনো দেশে কতটুকু করা হয় সাংবাদিকরা ভালোভাবেই জানেন। এভাবে সমালোচনা কোনো দেশেই হয় না।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা সমালোচনাকে সমাদৃত করার চর্চা লালন করি। বিএনপি বাংলাদেশে খুনের রাজনীতি কায়েম করেছিল। জিয়ার স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে গ্রেনেড হামলা হয়েছে। বিএনপি নেতাদের বলবো বিষেদগারের
রাজনীতি পরিহার করুন। অবশ্যই বিরোধীদল সরকারের সমালোচনা করবে কিন্তু যে ভাষায় যেভাবে অসত্য ভাষণ দিয়ে প্রতিনিয়ত সমালোচনা করা হয় এটি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি বহির্ভূত।