বোমাতঙ্কের খবরে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে রিয়ানএয়ারের একটি যাত্রীবাহী বিমান জরুরি অবতরণ করেছে। বিমানটিতে ১৬০ জন আরোহী ছিল। জার্মান পুলিশ জানিয়েছে, বিমানটি পোল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা শুরুর পর জরুরি অবতরণ করেছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
জার্মান পত্রিকা বিল্ড জেউতুংয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, রিয়ানএয়ারের একটি ফ্লাইট ডাবলিন থেকে ক্র্যাকোর উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। বিমানটিতে ১৬০ জন আরোহী ছিল।
স্থানীয় সময় রোববার রাত ৮টার দিকে বিমানটি বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বার্লিন থেকে পুনরায় যাত্রা করার পর বিমানে বোমাতঙ্কের খবরে এটি জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
জরুরি অবতরণের পর পরই বিমানটিতে তল্লাশি চালানো হয়। বার্লিন পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, কর্মকর্তারা নিরাপত্তা তল্লাশি সম্পূর্ণ করেছে। সেখানে বিপজ্জনক কিছু পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ওই বিমানের যাাত্রীদের অপর একটি বিমানে করে পোল্যান্ডে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন ওই মুখপাত্র। বিল্ড জেউতুংয়ের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বিমানের ফ্লাইটে থাকা ব্যাগ এবং অন্যান্য জিনিসপত্রেও তল্লাশি চালানো হয়েছে।
বিমানবন্দরের মুখপাত্র জেন পিটার হ্যাক বিল্ড পত্রিকাকে বলেন, জরুরি ভিত্তিতে অবতরণের অনুমতি চেয়েছিল রিয়ানএয়ারের বিমানটি। তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গেই অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, বিমানের সব যাত্রী এখন নিরাপদেই আছেন। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই রিয়ারএয়ারের একটি ফ্লাইট বেলারুশে অবতরণ করতে বাধ্য করা হয়। বেলারুশ সরকারের সমালোচক এক সাংবাদিককে আটক করতে গ্রিস থেকে লিথুয়ানিয়াগামী একটি ফ্লাইট জোরপূর্বক বেলারুশে অবতরণ করানো হয়।
ফ্লাইটে বোমা থাকার অভিযোগ এনে সেটি বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে ঘুরিয়ে নেয়া হয়। যদিও পরে সেখানে কোনো ধরনের বোমা বা বিস্ফোরক পাওয়া যায়নি।
সে সময় বেলারুশের নেক্সটা মিডিয়া নেটওয়ার্ক জানায়, ওই ফ্লাইটটিতে তাদের সাবেক সম্পাদক রামান প্রোতাসেভিচ ছিলেন। তাকে আটক করেছে বেলারুশ প্রশাসন। নেক্সটা মিডিয়া নেটওয়ার্ক বেলারুশ সরকারের বড় সমালোচক হিসেবে পরিচিত।
এর আগে গত বছরের জুলাই মাসে রিয়ানএয়ারের আরও একটি বিমান জরুরি অবতরণ করে। বিমানটি ডাবলিন থেকে ক্রাকোর দিকে যাচ্ছিল। সে সময় বিমানটিতে মিথ্যা বোমাতঙ্কের খবরে লন্ডনে জরুরি অবতরণ করানো হয়।