রাজধানীর মোহম্মদপুরে নবোদয় হাইজিংয়ে গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধের ঘটনায় ২ বছরের শিশুর পর চিকিৎসাধীন বাবা সোহেলের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
বুধবার সোহেলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল। তিনি জানান, ৭৫ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে মো. সোহেল আইসিইউতে গতরাতে মারা যান। এর আগে তার শিশু সন্তান মোরসালিনের (২) মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় সোহেলের স্ত্রী লাবনী ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে এখন ৭ তলার ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে।
ঘটনার দিন তাদের প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া আ. হালিম জানান, ২৮ মে শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের রুমের ভেতর থেকে চিৎকার শুনতে পাই। পরে আমরা ঘুম থেকে উঠে তাদের রুমের সামনে গিয়ে দেখি রুমের ভেতর আগুন জ্বলছে, সোহেল ও লাবনী রুমের বাইরে, তাদের শরীরেও আগুন জ্বলছিল। আর বাচ্চাটি রুমের ভেতরেই ছিল। তখন আমরা বাচ্চাটিকে রুমের ভেতর থেকে বাইরে বের করি। এরপর তাদেরকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
লাবনী অন্যের বাসায় গৃহপরিচারিকার কাজ করে। তার স্বামী সোহেল বেকার। তাদের আরেক বড় মেয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকে। নবদয় হাউজিংয়ের সি ব্লকের ২নম্বর টিনসড বাড়িতে ভাড়া থাকতো তারা। গত ২ মাস আগেই তারা এই বাসায় ভাড়া উঠেছিল। কিভাবে এই আগুন লেগেছে তিনি তা বলতে পারছি না।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের ডিউটি অফিসার মাহফুজ রিবেন ওইদিন জানান, শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৪৪ মিনিটে তারা আগুনের সংবাদ পান। এরপর আমাদের মোহাম্মাদপুর স্টেশনের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু তারা যাওয়ার আগেই আগুন নিভে যায়। এরপর ওই বাসার একই পরিবারের ৩ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক ভাবে জানা গেছে গ্যাস লাইন লিকেজ হওয়ায় রুমের ভেতর জমাট গ্যাস মশার কয়েলের সংস্পর্শে এসে এই আগুনের সূত্রপাত হয়। আগুনে ৩ জন দগ্ধসহ গৃহস্থালি মালামালও পুড়ে গেছে।