দেশের ১৬ জেলার ৮২ উপজেলা এবং ১৩ পৌরসভায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব পড়ে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ১৫ লাখ মানুষ। বিধ্বস্ত হয়েছে প্রায় ২৬ হাজার ঘরবাড়ি এবং মারা গেছে নয়জন। দুর্যোগের পর স্থানীয় প্রশাসনের দেয়া প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিসংখ্যান তৈরি করে এসব তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে গত ২৬ মে দুপুর ১২টা থেকে ৩টার মধ্যে ভারতের ডামরার উত্তর এবং বালাশোরের দক্ষিণ দিক দিয়ে ভারতের উত্তর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল অতিক্রম করে।
এ বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আতিকুল হক বলেন, এসও-এস ফরমে স্থানীয় প্রশাসন থেকে আমরা ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক হিসাব পেয়েছি। তবে এটি যাচাই করা না। জেলা প্রশাসনের সব ডিপার্টমেন্ট মিলে ডি-ফরমে চূড়ান্ত হিসাব পাঠাবে। সেই হিসাবটাই মূলত বিবেচনায় নেয়া হবে। দুর্যোগ শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে এই হিসাব জেলা প্রশাসন থেকে পাঠানোর নিয়ম।’
ইয়াসে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরা জেলায়। এই জেলায় ৯৪ হাজার ৮৫০ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। সাতক্ষীরার আশাশুনি, দেবহাটা, কালীগঞ্জ, শ্যামনগর উপজেলার পৌনে ছয় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে গেছে। এছাড়াও ছয় হাজার ৭৩৮ হেক্টর মাছের ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বরিশালের ১০ উপজেলা এবং ছয় পৌরসভার এক লাখ ২৭ হাজার ১৬২ জন মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, বরিশালে এক হাজার ২০০ ঘরবাড়ি আংশিক ও সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে।
এছাড়াও নোয়াখালীতে দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং ১০০টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে।