বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ভোগের বস্তু হিসেবে দেখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ জন্যই দলটি ক্ষমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে মনে করেন তিনি।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে শনিবার দলের বন ও পরিবেশবিষয়ক উপকমিটি আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘বিএনপির কাছে ক্ষমতা ভোগের বস্তু, ক্ষমতা ফিরে পেতে তাই তো মরিয়া হয়ে আছে। আর আওয়ামী লীগের রাজনীতি ত্যাগের, এ জন্যই জনগণ শেখ হাসিনার প্রতি আস্থাশীল। সহিংসতার উপাদান যুক্ত হলে রাজনৈতিক পরিবেশও নষ্ট হবে।’
গণতন্ত্রের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচিতে বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘মায়াকান্নার’ কঠোর সমালোচনা করেন ওবায়দুল কাদের।
ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষস্থানীয় এই নেতা বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের হত্যাকারী হিসেবে চিহ্নিত। বিএনপি নির্বাচনের নামে নির্বাচনের কফিনে বারবার গণতন্ত্রকে লাশ বানিয়েছিল।
‘১৯৭৮ সালের ৩ জুন জিয়াউর রহমান কোন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছিল? সেনাপ্রধানের দায়িত্বে থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করে দেশের গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল সেনাশাসক জিয়া। তার আগে ১৯৭৭ সালে হ্যাঁ-না ভোটের নামে দেশের নির্বাচনব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছিল।’
বিএনপিকে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে তীব্র সমালোচনা আর মিথ্যাচারের তির ছুড়ে এবং দলীয়ভাবে আপাদমস্তক অগণতান্ত্রিক চর্চা অব্যাহত রেখে কীভাবে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবে বিএনপি?
‘বিএনপি নাকি গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে, কর্মীরা প্রাণ দিচ্ছে, সর্বশেষ জাতীয় প্রেস ক্লাবে তাদের ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মীদের চেয়ার ছোড়াছুড়ি দেশবাসী দেখেছে! এভাবেই কি তারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছে?’
বিএনপির প্রতি অভিযোগ তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগের ২১ হাজার নেতা-কর্মীকে হত্যা, গুম করেছিল। বিএনপি অতীত ভুলে গেলেও দেশের মানুষ ঠিকই মনে রেখেছে।’