চান্দিনা (কুমিল্লা) সংবাদদাতা : সম্প্রতি ৩১ মে কুমিল্লা জিলাস্থ চান্দিনা উপজেলায় অবস্থিত রাজিয়া বারিক গাউসিয়া রেজভীয়া সুন্নিয়া এতিমখানার উদ্যোগে বৃক্ষ রোপন অনুষ্ঠান ২০২১ আয়োজন করে। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন রাজিয়া বারিক গাউসিয়া রেজভীয়া সুন্নিয়া এতিমখানার সভাপতি রাজিয়া বেগম।
অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা রেজভী মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া,এডভোকেট মহসিন ভুঁইয়া সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর জজ কোর্ট কুমিল্লা এবং সাধারন সম্পাদক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ৮ নং বরকইট ইউনিয়ন, প্রবীন শিক্ষক ও সমাজ হিতৈষি তাজুল ইসলাম মাষ্টার, মুহাম্মদ হান্নান,নাসরিন সুলতানা, নুরুল ইসলাম সহকারী ভুমি কর্মকর্তা,মুহাম্মদ রমিজ উদ্দিন,নুরুল ইসলাম নুরু সহ এলাকার গন্য মান্য ব্যাক্তি বর্গ। এতিমখানার সবুজ বনায়নে দুর্লভ প্রজাতির ফল ও ফুলের গাছ লাগানো হয়। দেশীয় ফল ছাড়াও বিশেষ করে রাম্বুটান,জয়তুন, লঙ্গান, ভিয়েতনামী নারিকেল, আলফান্সো আম, ব্লাকবেরী, থাই জামরুল, নাশপাতি, আপেল হরিমন ৯৯, ভেরিগেড মাল্টা, কাস্মেরী আপেল, তীন ফল, সুদানী শরীফা, লোকাট, চায়না ড্রোপ বারমাসী আম, লটকন, কার্টিমন বারমাসী আম, সূর্যডিম আম, গনেশ আনার, আলু বোখারা, ব্রুনাই কিং আম,কূল এবং উল্লেখযোগ্য ফুল গোলাপ, গন্ধরাজ, বাগানবিলাস, মধবীলতা, জবা, হাসনাহেনা, শিউলি, মৈশুন্ডি সহ বিভিন্ন প্রজাতির পাতাবাহার গাছ রোপন করা হয়।
মূল্যবান এ বৃক্ষ রোপনে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন নাসরিন সুলতানা। অনুষ্ঠান শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজিয়া বেগম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন রেজভী মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া, তাজুল ইসলাম মাষ্টার, নাসরীন সুলতানা,হান্নান মাষ্টার সহ আরো অনেকে। এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা রেজভী মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন ভুঁইয়া এতিমখানা প্রতিষ্ঠা,পরিচালনা এবং নব নির্মিত “বারিক ভুঁইয়া” ভবন নির্মানে নাসরিন সুলতানার অপরিসীম ত্যাগের কথা উল্লেখ করে এতিম অসহায় শিশু কিশোরদের ধর্মীয় শিক্ষার পাশাপাশি কারিগরী শিক্ষার ব্যাবস্থা গ্রহনে কারিগরী প্রশিক্ষন কেন্দ্র স্থাপনে তাঁর স্বপ্ন উল্লেখ করে তা বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা চাইলে সকলেই উক্ত প্রস্তাব বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস প্রদান করেন। বৃক্ষ রোপণে সার্বিক সহযোগিতা করে জিনিয়াস ওপেন স্কাউট গ্রুপের স্কাউটগন। পরে জিনিয়াস ওপেন স্কাউট গ্রুপের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে ত্রান বিতরন করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করে ক্ষুদে শিল্পী কমরুদ্দিন রুমী।