অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, ২০০৬ সালে খেলাপি ঋণের হার ছিল ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ, এখন আট শতাংশে নেমে এসেছে।
সোমবার জাতীয় সংসদে সম্পূরক বাজেট পাসের প্রক্রিয়ার সময় মন্ত্রী একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ১২ বছরে ঋণের সুদ হার ১২ দশমিক ১ ভাগ থেকে কমে ৭ দশমিক ৩ ভাগ হয়েছে। এখন ব্যাংকের শাখা দ্বিগুণ হয়েছে। চাহিদা বেড়ে গেছে। গ্রামে গ্রামে ব্রাঞ্চ হয়েছে। দেশের মানুষ সেবা পাচ্ছেন। ২০০৬ সালে টোটাল লোন আউটস্ট্যান্ডিং ছিল ১ লাখ ৫২ হাজার কোটি টাকা, যা এখন আটগুণ বৃদ্ধি পেয়ে ১১ লাখ ৮৭ হাজার কোটি টাকা হয়েছে।
পুঁজিবাজারের সমালোচনার জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, যখন ক্ষমতায় আসি তখন পুঁজিবাজারে লেনদেন এক লাখ ৪ হাজার কোটি টাকা ছিল। তা এখন পাঁচ গুণ বেড়েছে। গড় লেনদেন ছিল দৈনিক ২৮ কোটি টাকা, যা এখন ৩০ গুণ বেড়েছে।
তিনি বলেন, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আগামী এক বছরের মধ্যে ১৫টি আইন প্রণয়ন করা হবে। আমরা সংস্কারমুখী কাজ করব। নতুন নতুন আইন করব। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে দায় নিয়ে কাজ করতে পারে, সে ব্যবস্থা করে দেব।