সরকারি আবাসন কিংবা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে চার গুণ বেশি জরিমানা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস।
মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনের মেয়র হানিফ মিলনায়তনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ‘জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিস বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ আয়োজিত ‘এডিস মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগ প্রতিরোধ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এই ঘোষণা দেন।
ডিএসসিসি মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা এখন নির্মাণাধীন স্থাপনা, বিশেষ করে সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি। আমি আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে নির্দেশনা দিয়েছি, সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে ৪ জরিমানা গুণ করার।’
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস আরও বলেন, ‘আমাদেরকে সমস্যা সমাধান করতে হলে সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে। সরকারের বিভিন্ন নির্মাণাধীন স্থাপনা, আবাসিক কলোনি ইত্যাদিতে আমাদের মশক কর্মীরা যেতে পারে না, আমাদের কাউন্সিলরদেরকে সেখানে যেতে দেওয়া হয় না। ফলে সেখানে মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম দুর্বল হয়। সেখানে একবার যদি এডিস মশার বংশবিস্তার শুরু হয় তবে তা বৃহৎ আকার ধারণ করে। সেজন্য সরকারি আবাসন-স্থাপনায় আমরা এখন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছি।’
এ সময় ব্যারিস্টার তাপস সরকারি আবাসন ও নির্মাণাধীন স্থাপনাগুলোকে এডিস মশার অভয়ারণ্য হিসেবে উল্লেখ করেন।
বর্তমানে ছাদ বাগানের একটি সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে উল্লেখ করে মেয়র তাপস বলেন, ‘এখন বাসা বাড়িতে একটি মরা গাছ থাকলেও একটি ফুলের টব থাকে। ফুলের টবে মরা গাছ শোভা পেলো নাকি ফুল শোভা পেলো সেটা বিষয় না। ফুলের টব থাকতেই হবে! আমি মহিলা কাউন্সিলরদেরকে অনুরোধ করবো, আপনারা সেসব বাসাবাড়ির কর্তা-কর্ত্রীর সাথে আলাপ করে সেসব ফুলের টবে যেন পানি না জমে, সে বিষয়ে ভূমিকা রাখবেন।’
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পক্ষ থেকে এডিস মশার বংশবিস্তারের নানাবিধ অনুষঙ্গ এবং তা নিয়ন্ত্রণে করপোরেশনের সঙ্গে সমন্বিত নানাবিধ কার্যক্রম উপস্থাপনা করা হয়।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মো. শরীফ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কমিউনিকেবল ডিসিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির কাউন্সিলরবৃন্দ, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাগণ ও করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানগণ।