‘ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টা’ মামলায় সঠিক বিচার পাবেন বলে আশা ব্যক্ত করেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। গত সোমবার পরীর দায়ের করা মামলার মূল নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিকে গ্রেপ্তারের পর মঙ্গলবার তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করায় গোয়েন্দা পুলিশকে ধন্যবাদ জানাতে মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে পরীমণি রাজধানীর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কার্যালয়ে এসেছিলেন। ডিবি পুলিশের সঙ্গে কথোপকথনের পরে সন্ধ্যা ছয়টার দিকে বেরিয়ে এসে পরীমণি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা ম্যাজিকের মতো হয়ে গেছে। মানে এত তাড়াতাড়ি, এত তাড়াতাড়ি সব কিছু… হারুন স্যার যেভাবে একটা ম্যাজিকের মতো…. মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে….! ঘুমিয়ে মানুষ জাগে সকালে, সেইটা সুযোগটা আমি পাইনি। মানে ঘুমানোর টাইম পাইনি। তার আগে আমি দেখলাম দ্রুত কাজগুলো হয়ে গেছে।তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
ডিবি পুলিশের সঙ্গে বন্ধুসুলভ কথোপকথন হয়েছে বলে উল্লেখ করে পরীমণি জানান, তিনি এখন মানসিক স্বস্তি পাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘এখানে এসে আমি মেন্টালি অনেকটা রিফ্রেশ। আমি যে কাজে ফিরব, এটা কেউ কিন্তু আমাকে বলেনি। আমার আশেপাশের যারা ছিল, সবাই আমাকে সান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। কিন্তু আমার যে কাজে ফিরতে হবে এতক্ষণ ধরে তারা আমাকে সেই শক্তিটা যুগিয়েছেন। আমার কাজ নিয়ে কথা বলছে, আমাকে নানারকম গুড ভাইভ দেওয়া হচ্ছে। আমার নরমাল লাইফে আমি কিভাবে ফিরে যাব, আমি এতটা তাদের কাছ থেকে আশা করি নাই। এতটা বন্ধুসুলভ তারা।’
আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদকেও ধন্যবাদ জানাতে ভুলেননি পরী। তিনি বলেন, ‘আমার একমাত্র ভরসা ওনিই ছিলেন। ঐ পর্যন্ত যেতে পারছিলাম না… এটা নিয়ে আমি হতাশা প্রকাশ করেছিলাম। বেনজীর যখন জেনেছেন, তার কান অবধি আমি যখন পৌঁছাতে পেরেছি, তখন তো আপনারা দেখলেন কয়েক ঘণ্টা লাগছে মাত্র। আমার তো ঐটাই… আমার তো মূল বিশ্বাস ঐটাই ছিল তার কান অবধি পৌঁছালে সে একদম সেটা নিজের মতো করে দেখে নেবে।’
ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন, পরীমণি বাংলাদেশের একজন স্বনামধন্য নায়িকা। একদিকে স্বনামধন্য নায়িকা আরেকদিকে সে হচ্ছে আমাদের ছোট বোন। সে হিসেবে আমাদের দায়িত্বটা হচ্ছে, যখন আমরা ফেইস মিডিয়াতে ওর কথাটা শুনলাম। তখন আমাদের ইনস্পেক্টর জেনারেল অব পুলিশ আমাদের তাৎক্ষণিক নির্দেশ প্রদান করেছেন, যে বিষয়টা একটু দেখো। আপনারা দেখেছেন, মামলা রুজু হওয়ার আগেই ১২ ঘণ্টার মধ্যেই কিন্তু আমরা আসামিদের গ্রেপ্তার করেছি।’
মামলার সুষ্ঠু তদন্তে পুলিশ সহায়তা করবে বলেও জানান ডিবি কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। ‘এখন পুলিশকে ধন্যবাদ দেওয়ার জন্য ওনি নিজের বাসা থেকে চলে এসেছেন।আমরা তার সাথে মামলার যাবতীয় বিষয় নিয়ে কথা বলেছি। ওনি আমাদের কাছে বলেছেন, মামলা যেন সুষ্ঠুভাবে সমাপ্ত হয়। যারা এই কাজটি করেছেন, তারা যত বড় শক্তিশালী হোক না কেন, তাদের যেন ছাড় না দেওয়া হয়। ওনাকে আশ্বস্ত করেছি, যত বড় অফিসার… যত বড় ইয়ে হোক, ছাড় দেব না। ‘আমরা এই মামলা সমাপ্তি পর্যন্ত দেখভাল করব, যাতে এটার সুষ্ঠু বিচার হয়।’