দেশের প্রথম মেট্রোরেল (এমআরটি লাইন-৬) আগামী বছরের জুনে চালু হবে। এসময় রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল অংশের মধ্যে উত্তরা-আগারগাঁও অংশে মেট্রোরেল চলাচল করবে।
বৃহস্পতিবার এক ভার্চুয়াল সভায় এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড-ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।
এসময় আগামী আগস্ট থেকে রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন পরিচালনা করার লক্ষ্যে কাজ চলছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর-নতুন বাজার-কুড়িল-কমলাপুর রুটে মাটির নিচের রেলপথ নির্মাণকাজ শুরু করা হবে ২০২২ সালের শুরুর দিকে।
প্রকল্পের অগ্রগতি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, এই প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে প্রায় ৬৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। জাপান থেকে ডিপো এলাকা দিয়াবাড়িতে এসেছে একাধিক ট্রেন সেট। এগুলোর পরীক্ষামূলক চলাচলের জন্য ১৯ ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১৪ দশমিক ৪১ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট (উড়ালপথ) স্থাপন শেষ করা হয়েছে। উত্তরা-আগারগাঁও অংশের অগ্রগতি ৮৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের অগ্রগতি ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যবিধি ও সব সরকারি নির্দেশনা মেনে কাজ করছি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত বিভিন্ন মেগা প্রকল্পেও নির্দেশনাগুলো মানতে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের জন্য প্রকল্প এলাকায় তৈরি করা হয়েছে আইসোলেশন সেন্টার। তাপমাত্রা পরীক্ষার ব্যবস্থাও রয়েছে।
প্রকল্পে অর্থায়ন করছে জাপানের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা জাইকা। প্রকল্পে ব্যয় হচ্ছে ২২ হাজার কোটি টাকা। তার মধ্যে ১৬ হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে জাইকা।