ঢাকা ব্যাংকের বংশাল শাখা থেকে ৩ কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ক্যাশ ইনচার্জ রিফাতুল হক ও ম্যানেজার অপারেশন এমরান আহম্মেদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
শুক্রবার ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মাসুদ উর রহমানের আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন।
এদিন দুই আসামিকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় বংশাল থানার এসআই প্রদীপ কুমার ৫৪ ধারায় আসামিদের গ্রেফতার করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা ঢাকা ব্যাংকের বংশাল থানার টাকার ভোল্টের দায়িত্বে ছিলেন এবং ভোল্টের চাবি তাদের নিকটই থাকতো। গত ১৭ জুন ব্যাংকের অডিট টিম অডিট করার সময় ব্যাংকের ভোল্টের তিন কোটি ৭৭ লাখ ৬৬ হাজার টাকার হিসেব গড়মিল পান। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজার মোহাম্মদ আবু বকর সিদ্দিকের নিকট অডিট টিম টাকা গড়মিলের স্টেটমেন্ট দাখিল করেন। তখন অভিযোগের বাদী আবু বকর সিদ্দিক অডিট টিমের স্টেটমেন্টের ভিত্তিতে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে আসামিরা তাৎক্ষণিকভাবে টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। ব্যাংকের ম্যানেজার তখন তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অডিট টিমের সহায়তায় আসামিদের আটক করেন। এরপর ব্যাংকের ম্যানেজার দুই আসামির বিরুদ্ধে বংশাল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।
আবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, অভিযোগে পেনাল কোড ৪০৯ ধারার অপরাধ উল্লেখ করা হয়। যার তদন্ত ক্ষমতা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শিডিউলভুক্ত হওয়ায় দুদক এই অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এমতাবস্থায় আটক দুই আসামিকে আদালতে প্রেরণ না করলে চিরতরে পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আসামিরা আমল যোগ্য অপরাধের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে তাদেরকে ফৌজদারি কার্যবিধি ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করে হেফাজতে নেয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে অভিযোগকারীর অভিযোগসহ প্রয়োজনীয় কাগজ দুদককে অবগত করা হয়েছে। তাই আসামিদের বিরুদ্ধে দুদক আইনি ব্যবস্থা নেয়ার আগ পর্যন্ত তাদের জেলহাজতে আটক রাখা প্রয়োজন।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাদের জামিন আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।