শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শুরু শনিবার

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : শুক্রবার, ১৮ জুন, ২০২১
  • ১৯৯ পাঠক পড়েছে

চীনের উপহার পাওয়া ১১ লাখ ডোজ সিনোফার্মের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ শনিবার থেকে দেয়া শুরু হবে।

এই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজের সঙ্গে দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান নির্ধারণ করা হয়েছে চার সপ্তাহ।

এছাড়া ভ্যাকসিন কেন্দ্রের অন্যান্য ব্যবস্থাপনা আগের মতোই প্রস্তুত করার নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর (এমএসসিএন্ডএএইচ) ও কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন ব্যবস্থাপনা টাস্কফোর্স কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. শামসুল হক বলেন, সারাদেশের সব সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, সরকারি জেনারেল হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের নির্দিষ্ট কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে যাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

ভ্যাকসিন পাবেন যারা
১০ ক্যাটাগরির ব্যক্তিদের এই ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ভ্যাকসিনের জন্য নির্ধারিত কেন্দ্রে ইতোমধ্যে যারা ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনও ভ্যাকসিন পাননি, তাদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।

অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশ সদস্যরা যারা আগে ভ্যাকসিন নেননি, অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত বিদেশগামী বাংলাদেশি কর্মী, যাদের বিএমইটি নিবন্ধন কিংবা কার্ড আছে, সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল ও ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীরা, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস ও সরকারি আইএইচটি’র শিক্ষার্থীরা, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা, বিডার আওতাধীন ও অন্যান্য জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়নমূলক সরকারি প্রকল্পে (পদ্মা সেতু প্রকল্প, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ প্রকল্প, মেট্রোরেল প্রকল্প, এক্সপ্রেস হাইওয়ে প্রকল্প, রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প, রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র) সম্পৃক্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার পরিচ্ছন্নতাকর্মী, সারাদেশে কোভিড-১৯ মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত ওয়ার্ড/পৌরসভার কর্মী এবং বাংলাদেশে বসবাসরত চীনা নাগরিকরা পাবেন সিনোফার্মের এই টিকা।

নিবন্ধন ছাড়া ভ্যাকসিন নয়
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আগে অন্য কোনও করোনা ভ্যাকসিন নেওয়া থাকলে এই ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না। নিবন্ধন ছাড়া কেউ ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবে না।

তাছাড়া অন্য কোনও দেশ থেকে প্রথম ডোজ ভ্যাকসিন গ্রহণ করে বাংলাদেশে এলে দ্বিতীয় ডোজ হিসেবে এ ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না।

সরকারি ও বেসরকারি মেডিক্যাল এবং ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থী, সরকারি নার্সিং ও মিডওয়াইফারি, সরকারি ম্যাটস এবং সরকারি আইএইচটি শিক্ষার্থীরা জাতীয় পরিচয়পত্র না থাকলে স্টুডেন্ট আইডি’র তথ্য লিপিবদ্ধ করে ভ্যাকসিন নিতে পারবেন, কিন্তু দ্বিতীয় ডোজের ভ্যাকসিন গ্রহণের আগে জাতীয় পরিচয়পত্র সুরক্ষায় ওয়েব পোর্টালে/অ্যাপে নিবন্ধন করে নিতে হবে।

যাদের জন্য ভ্যাকসিনের নিষেধাজ্ঞা
সিনোফার্মের এই ভ্যাকসিন ১৮ বছরের নিচে কাউকে দেওয়া হবে না। ভ্যাকসিন গ্রহণের সময় জ্বর থাকলে বা অসুস্থ থাকলে, ভ্যাকসিনজনিত অ্যালার্জির পূর্ব ইতিহাস থাকলে, প্রথম ডোজ গ্রহণের পর মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হলে তিনি এ ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না।

অনিয়ন্ত্রিত দীর্ঘমেয়াদি রোগ, যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, স্ট্রোক, ঘা, অ্যাজমা, কিডনি রোগ, ডায়ালাইসিস নিচ্ছেন এমন ব্যক্তি, ক্যানসারে আক্রান্ত এবং স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার জনগোষ্ঠীর ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, টিকার জন্য ইতিমধ্যে রেজিস্ট্রেশন করেছেন ৭০ লাখ মানুষ। তাদের মধ্যে ৫৮ লাখ মানুষের কেউ দুই ডোজ টিকা নিয়েছেন, আবার কেউ একটা ডোজ নিতে পেরেছেন। যারা এক ডোজ টিকাও পায়নি তাদের লক্ষ্য করে এই সিনোফার্ম টিকার কার্যক্রম চলবে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ঢাকা জেলায় চারটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাধ্যমে দেয়া হবে সিনোফার্মের ভ্যাকসিন। এই চারটি হাসপাতাল হচ্ছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।

এসব হাসপাতালে একটি করে ভ্যাকসিন কেন্দ্র হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে বুথ থাকবে। তাছাড়া ঢাকা জেলা বাদে প্রতি জেলায় একটি করে ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্র হবে এবং প্রতিটি কেন্দ্রে দুটি করে বুথ থাকবে। তবে বুথ চালু করতে হবে টিকা গ্রহীতার সংখ্যার ওপর নির্ভর করে।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি দেশে অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকা দিয়ে গণটিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে ভ্যাকসিন পাওয়ার ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা তৈরি হলে প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ হয়ে যায়। যারা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন তাদের জন্য দ্বিতীয় ডোজ কবে কীভাবে নিশ্চিত করা হবে এ নিয়ে পরিষ্কার করে কিছু বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ।

সদস্য সচিব মো. শামসুল হক বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে টিকা আনার জোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু টিকা হাতে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।

তিনি বলেন, ‘চীন, রাশিয়া, কোভ্যাক্সসহ আরও অনেক জায়গায় যোগাযোগ চলছে। এখন মর্ডানা, নোভাভ্যাক্স, জনসন অ্যান্ড জনসনের ভ্যাকসিন, ফাইজার আবার অ্যাস্ট্রেজেনেকার কথাও হচ্ছে। এখন যেটা যখন আমাদের হাতে আসবে তখন সেটা নিয়ে আমরা প্ল্যান করতে পারবো।’

 

 

 

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580