আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘চিহ্নিত অপরাধী, চাঁদাবাজ, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি ও বিতর্কিত ব্যক্তিদের কোনো অবস্থাতেই দলে টানা যাবে না। ত্যাগীদের মূল্যায়ণ করতে হবে।’
রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের নেতাদের অক্ষরে অক্ষরে সব সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে সুদৃঢ় ঐক্য ফিরিয়ে আনতে হবে।’
দলের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা সহ্য করা হবে না বলে হুশিয়ারি দেন সাধারন সম্পাদক। কাদের বলেন, ‘দুর্নীতি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। অথচ অপকর্মের জন্য বিএনপি আমলে তাদের নেতাদের কোনো বিচারের মুখোমুখি হতে হতো না।’
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যারা পেছন থেকে দেশকে টেনে ধরতে চায়, তারা চিরকালই জনবিচ্ছিন্ন থাকবে। বিএনপি নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়। তারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে পায় না। দিনের আলোতেও অন্ধকার দেখে তারা। এতো উন্নয়নের কারণেই তাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘১৫ আগস্টের কুশীলব ছিলেন জিয়াউর রহমান। জিয়াউর রহমান নিজ কর্মের কারণেই ইতিহাসের কাঁঠগড়ায়।’
‘বিএনপির আন্দোলনে জনগণ সাড়া দেবে না। তারা জনগণের জন্য কিছুই করেনি। বিএনপি মানুষের ভাগ্যোন্নয়ন চায় না। তারা নিজেদের পকেট ভারী করতে চায়। লুটপাটতন্ত্রের মূলহোতা বিএনপি’ বলেন কাদের।
বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমও নেতাদের উদ্দেশ্যে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তৃতা করেন।