সরকার নিজেদের ‘অনৈতিক এবং কর্তৃত্ববাদী’ শাসন পাকাপোক্ত করতেই বিরোধী মতের উপর হিংস্র আচরণ অব্যাহত রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘মানুষের কল্যাণে কাজ না করে সরকার ক্ষমতার দাম্ভিকতায় ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে গভীর সঙ্কটে নিপতিত করছে। সারাদেশে গুম, খুন, অপহরণ ও বিচারবর্হিভূত হত্যা চালিয়ে দেশকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে।’
সোমবার এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। গ্রেপ্তারের পর সাবেক ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের পায়ে গুলি এবং তার বাম পা কেটে ফেলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ বিবৃতি দেন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘গত ১৭ জুন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে নগরির বায়েজিদ এলাকা থেকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করে। তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকার পঙ্গু পাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পঙ্গু হাসপাতালে তার বাম পা কেটে ফেলতে হয়েছে।’
এই ‘মানবতা বিবর্জিত’ ঘটনার সাথে জড়িতদের বিচার এবং ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলামের মুক্তি দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘ছাত্র নেতা সাইফুলের উপর পুলিশ যে পৈশাচিক কর্মযজ্ঞ ঘটিয়েছেন তা রাষ্ট্রীয় আইনে কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয় এবং মানবতাবিরোধী অপরাধ। সরকার নিজেদের অনৈতিক এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন পাকাপোক্ত করতেই বিভিন্ন বাহিনীকে জনগণের মুখোমুখী দাঁড় করাচ্ছে।’
এই ঘটনাকে পৈশাচিক উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এ ঘটনার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। যেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর দায়িত্ব দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা, সেখানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্য ক্ষমতাসীনদের খুশি করার লক্ষ্যে বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের উপর অন্যায় করে যাচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় পুলিশ দিয়ে হামলা করে বিরোধী মতের নেতাকর্মীদেরকে জখম, গুলি করে পঙ্গু করার মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এই মাফিয়া সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করার সকল অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এই উদ্দেশ্য পূরণে সরকার দিন-দিন দানবীয় রূপ ধারণ করছে।’