রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে রাজধানীর রমনা থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান জানান, মঙ্গলবার সকালে রমনা থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
থানায় অবহেলাজনিত মৃত্যুর অভিযোগ এনে দণ্ডবিধির ৩০৪ (ক) ধারায় পুলিশ মামলা দায়ের করেছে।
গত রোববার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে মগবাজারের একটি ভবনে বিস্ফোরণের ঘটনায় সাত জন মারা যান, আহত হন অর্ধশতাধিক।
হঠাৎ বিস্ফোরণের পরমগবাজার ও আশপাশ এলাকার বাসিন্দা এবং ব্যবসায়ীদের ঘোর কাটেনি এখনও। দুর্ঘটনাস্থলের আশপাশের শতাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বাড়ির কাচ, দরজা-জানালা ভেঙে চুরমার। মূল ঘটনাস্থলের চারপাশে অন্তত এক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্ম্ফোরণের শব্দ ও এর প্রতিক্রিয়ায় ক্ষয়ক্ষতি হয়।
কীভাবে, কেন তীব্র এই বিস্ফোরণ- এমন প্রশ্ন সবার মাঝে। অনেকে তিতাসের লাইনকে সন্দেহের তালিকায় রাখছেন।
বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্তে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স পাঁচ সদস্য ও পুলিশ সাত সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বোমা নিষ্ফ্ক্রিয়করণ দলের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপলাইনের ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে (লিকেজ) বিস্ম্ফোরণের সূত্রপাত। গ্যাস জমে জমে ভবনের ভেতরের কোনো কক্ষে ‘গ্যাস চেম্বার’ তৈরি হয়। এরপর কোনো সিগারেট বা অন্য কোনো মাধ্যমে আগুনের সংযোগের পর তা বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ও সেফটি ম্যানেজমেন্ট ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান সমকালকে বলেন, দুর্ঘটনাস্থলে ৮-৯ শতাংশ মিথেন গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। তাছাড়া ঢাকায় তিতাস ও স্যুয়ারেজের লাইন অনেক পুরোনো। সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দায় স্বীকার করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।
তবে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এলপিজি সিলিন্ডার বিস্ফোরণের কারণে এটা ঘটতে পারে।
বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।