তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের এক লাখ ৭০ হাজার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ফাইবার অপটিক্যাল হাইস্পিড ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি যুক্ত হবে। আইসিটি বিভাগের অধীন ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিতে কেউ যেন পিছিয়ে না থাকে সে লক্ষ্যে গার্লস ইন আইসিটি প্রোগ্রাম, জব অপরচুনিটি অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্টসহ বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক রিজিওনাল অফিসের উদ্যোগে ‘গার্লস ইন টেক ডে বাংলাদেশ ২০২১’ অনুষ্ঠান উদ্বোধনকালে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের এশিয়া ফর প্যাসিফিক রিজিওনাল ডিরেক্টর অসুকু ওকুন্ডা, এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক অ্যালায়েন্স ফর ইন্টারনেট ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ফাইন্ডেশনের রিজিওনাল হেড অঞ্জু মন্ডল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ইউনাইটেড নেশনসের (ইউএন) সহযোগিতায় ওয়াইফাই প্রোগ্রামের মাধ্যমে ৫০ হাজার এন্টারপ্রেনিউর তৈরি করা হয়েছে। ফিল্যান্সার থেকে এন্টারপ্রেনিউর তৈরির লক্ষ্যে চার হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও আইটি সার্ভিস প্রোভাইডার ও ওমেন কল সেন্টার এজেন্ট হিসেবে প্রায় সাত হাজার নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি-বেসরকারি ও বাণিজ্যিক তথ্য এবং সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে বটম আপ অ্যাপ্রোচ (প্রান্ত থেকে কেন্দ্র) পদ্ধতি বাস্তবায়নে ২০১০ সালে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার উদ্বোধন করেন। বর্তমানে সাড়ে সাত হাজারের অধিক ডিজিটাল সেন্টারে ১৫ হাজারের বেশি উদ্যোক্তা কাজ করছে। এর মধ্যে ৫০ শতাংশই নারী। সেন্টারগুলোর মাধ্যমে প্রায় ৩০০টিরও অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতি মাসে ৬০ লাখের অধিক সেবা গ্রহীতা ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে সেবা গ্রহণ করছেন।
প্রতিমন্ত্রী ‘মুক্তপাঠ’ বাংলা ভাষায় সর্ববৃহৎ ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্ম উল্লেখ করে বলেন, যেখানে অনলাইনে সাধারণ শিক্ষা, কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও সমগ্র জীবনব্যাপী শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে।
পলক বলেন, আগামী বছর থেকেই প্রাথমিক পর্যায়ে কোডিং শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে আইসিটি বিভাগ। বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে দক্ষ করে তুলতে দেশে আরো ৩৫ হাজার আধুনিক ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে।