জেলা রেজিষ্টার কুড়িগ্রাম এইচ এম মুজাহিদু ইসলাম এর বিরুদ্ধে মহাপরিদর্শক নিবন্ধন শহিদুল ইসলাম ঝিনুক এর সাথে অসদাচরণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ২৭-০৬-২০২১ ইং মহাপরিদর্শক নিবন্ধন এর স্বাক্ষরিত যার স্মারক নং-৪০২(২)/১ পত্রের মাধ্যমে জানা যায় যে, গত ২৭-০৬-২০২১ ইং তারিখে অফিসিয়াল প্রয়োজনে কথা বলার জন্য মহাপরিদর্শক নিবন্ধন এর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তানজিল হাসানকে জেলা রেজিষ্ট্রার কুড়িগ্রাম এইচ এম মুজাহিদুল ইসলামের ফোনে ফোন দিলে জেলা রেজিষ্ট্রার কুড়িগ্রাম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
পরবর্তীতে পুনরায় জেলা রেজষ্ট্রিার কুড়িগ্রাম মহাপরিদর্শক নিবন্ধন এর ল্যান্ড ফোনে ফোন দিয়ে মহাপরিদর্শক নিবন্ধন কে বলেন আপনি আমার আইজিআর নন। আপনাকে আমি আইজিআর হিসেবে মানি না। এছাড়াও পরিদর্শক মোঃ আব্দুল সালাম আজাদ এর সাথেও অসদাচরণ করেন এবং গালিগালাজ করেন। এছাড়াও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সম্পর্কে অশালিন মন্তব্য করেন। তথ্য সূত্রে আরো জানা যায় ল্যান্ড ফোনে একই দিনে মহাপরিদর্শক নিবন্ধন এর পি.এ, কে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
মহাপরিদর্শক নিবন্ধন শহিদুল ইসলাম ঝিনুক একই দিনে ২০১৮ সালের সরকারী কর্মচারী (শৃংখলা ও আপিল) বিধিমালার বিধি-২ এর (খ) ধারা মোতাবেক অপরাধ করায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বর্ণিত মর্মে পরিস্থিতিতে অসদাচরণ (গরংপড়হফঁপঃ) এর দায়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য নোটিশপ্রাপ্ত ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিবন্ধন অধিদপ্তর বরাবরে কারন দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। যার অনুলিপি সচিব, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এছাড়া আইন মন্ত্রীর একান্ত সচিব, উপ-সচিব, রেজিষ্ট্রেশন আইন ও বিচার বিভাগ কে অবগত করেছেন। একাধিক সূত্রে জানা যায় তার নিজ জেলা কুড়িগ্রামে দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি কর্মরত আছেন এবং তার অফিসে সেবা প্রত্যাশীরা তাদের সাথেও এ ধরনের আচরণ করেন। তার অধীনে সকল সাব-রেজিষ্ট্রারগণকে প্রতি সপ্তাহে মাসোহারা দিতে হয়। যারা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে তাদেরকে গালিগালাজ করেন। তার নিজ জেলা কুড়িগ্রাম ও রাজধানী ঢাকাতে অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও তার স্ত্রী সন্তানের নামে, বেনামে ব্যাংকে গচ্ছিত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে টাকা।
চাকরী জীবনে কোটিপতি বনে গেছেন জেলা রেজিষ্ট্রার মুজাহিদুল ইসলাম। যা দুদক তদন্ত করলেই সতত্যা মিলবে ও থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুড়িগ্রাম জেলার একাধিক সাব-রেজিষ্ট্রার ও মহাপরিদর্শক নিবন্ধন অফিস এর একাধিক কর্মকর্তাগণ আজকের সংবাদকে জানান জেলা রেজিষ্ট্রার মুজাহিদুল ইসলাম অবৈধ টাকার প্রভাবে নিজেকে মস্ত বড় অফিসার ভাবেন। এছাড়াও একজন মানসিক ও ভারসাম্যহীন বলে মনে করেন তারা। তার বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়েছেন একাধিক সাব-রেজিষ্ট্রারগণ।
উক্ত অভিযোগের সতত্যা জানার জন্য জেলা রেজিষ্ট্রার কুড়িগ্রাম এইচ এম মুজাহিদুল ইসলামের মোবাইল ফোনে জানতে চাইলে তিনি আজকের সংবাদ এর এই প্রতিবেদককেও চ্যাঁটের কথা শোনার সময় নেই বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং বলেন যে, আমার বিরুদ্ধে যা পারেন তা লেখেন আমার কিছুই হবে না আমার হাত অনেক লম্বা। এই বলে লাইনটি কেটে দেয়। উক্ত অভিযোগ ও জেলা রেজিষ্ট্রার কুড়িগ্রাম এর কারনদর্শানোর নোটিশের পত্রের জবাব ও অভিযোগের সত্যতা জানার জন্য মহাপরিদর্শক নিবন্ধন এর ফোনে ফোন দিলে রিসিভ না করায় তার কোন মতামত পাওয়া যায়নি।