দেশের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে গত ৫ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি ধর্ষণ মামলা হয়েছে। ওই হিসাব গত বছরের ২১ অক্টোবরের আগ পর্যন্ত পাঁচ বছর সময়ের।
সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বুধবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। এ ছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। আদালত আগামী ১৫ জুলাই শুনানির পরবর্তী দিন রেখেছেন।
ধর্ষণের মতো শাস্তিযোগ্য অপরাধের ক্ষেত্রে মধ্যস্থতা, সালিস বা মীসাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে এবং ইতিপূর্বে এ বিষয়ে দেওয়া তিনটি রায়ের নির্দেশনা বাস্তবায়ন চেয়ে গত বছরের ১৯ অক্টোবর আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে একটি রিট আবেদন করা হয়। এর শুনানি নিয়ে গত বছরের ২১ অক্টোবর আদালত রুলসহ আদেশ দেন। ধর্ষণের ঘটনায় সালিস বা মীমাংসা রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়ে সেদিন হাইকোর্ট ধর্ষণের ঘটনায় গত পাঁচ বছরে সারা দেশের থানা, আদালত ও ট্রাইব্যুনালে কতগুলো মামলা হয়েছে, তা জানিয়ে প্রতিবেদন দিতে বলেন। এর ধারাবাহিকতায় প্রতিবেদন জমা পড়ে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মো. শাহীনুজ্জামান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের দাখিল করা প্রতিবেদনে এসেছে ধর্ষণের অভিযোগে গত ৫ বছরে ৩০ হাজার ২৭২টি মামলা আদালতে দায়ের হয়েছে। পুলিশের মহাপরিদর্শকের পক্ষ থেকে দাখিল করা প্রতিবেদনে ধর্ষণের ঘটনায় সালিশ রোধে গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বলা হয়েছে। অপর বিবাদীদের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন এখনো আসেনি। আইন সচিব, সমাজকল্যাণ সচিব এবং নারী ও শিশুবিষয়ক সচিবের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই দিন পরবর্তী শুনানির জন্য দিন রেখেছেন আদালত।