করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় রাষ্ট্রের জন্য সহায়ক বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
সোমবার ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ভালোকিনি ডট কম ও বেসরকারি সংস্থা গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাট’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি একথা জানান।
প্রাণিসম্পদমন্ত্রী বলেন, করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিতে জনসমাগম থেকে দূরে থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে অনলাইনে কোরবানির গরু ক্রয়-বিক্রয়ের সুযোগ রাষ্ট্রের জন্য, সরকারের জন্য বড় সহায়ক। চরাঞ্চলের গরুর অনলাইন হাট শুধু ক্রেতা-বিক্রেতার সুবিধার জন্যই নয়, এটি রাষ্ট্রের সুবিধার জন্য। এজন্য সংশ্লিষ্টদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন। সে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কারণে আজ চরাঞ্চলের খামারিরা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে সংযুক্ত হতে পারছেন। চরাঞ্চলের মানুষদের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ প্রকল্প থেকে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে সব সহযোগিতা করা হচ্ছে।
চরাঞ্চলের খামারিরা উৎপাদিত প্রাণী নিয়ে যেন কোনোরকম অসহায় অবস্থায় না পড়ে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট জেলা-উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এ সময় নির্দেশ দেন মন্ত্রী।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, খামারিদের সুবিধার্থে আমরা বৈধ বা অবৈধ কোনো উপায়েই মিয়ানমার বা ভারত থেকে গবাদিপশু দেশের ভেতরে আসতে দিচ্ছি না। কারণ গবাদিপশু উৎপাদনকারীদের অনেক অর্থ ব্যয় হয়। তারা যদি ন্যায্যমূল্য না পান তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন, বেকার হয়ে যাবেন, তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার আগ্রহ হারিয়ে যাবে ও গ্রামীণ অর্থনীতির সচল চাকা অচল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি সব খামারি ও উৎপাদকদের নিশ্চিত করছি, আপনারা ন্যায্যমূল্যে গবাদিপশু বিক্রি করতে পারবেন। আমরা চাই দেশের প্রাণিসম্পদ বেড়ে উঠুক। সরকার সব ধরনের সহযোগিতা দেবে। বাংলাদেশে প্রাণিসম্পদ খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে এবং এ পরিবর্তনের ধারা আমরা অব্যাহত রাখবো।
ভালোকিনি ডট কমের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কেরামত উল্লাহ বিপ্লবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে গাইবান্ধা ও রংপুর অঞ্চলের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, গণ উন্নয়ন কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ ইমরান হোসেনসহ সংশ্লিষ্টরা অংশগ্রহণ করেন।