হেফাজতের সাবেক নেতা মামুনুল হকের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লার ঝুমন দাসকে এক বছরের জন্য জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে এই এক বছরে তিনি দেশের বাইরে যেতে পারবেন না বলে জামিনের আদেশে বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, তবারক হোসেন, জেড আই খান পান্না, নাহিদ সুলাতানা যুথি ও মো. আশরাফ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিজানুর রহমান।
এর আগে ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতে ইসলাম শানে রিসালাত নামে এক সমাবেশের আয়োজন করে। সেখানে হেফাজত নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ঝুমন দাস নামে এক তরুণ সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে স্ট্যাটাস দেন। তার স্ট্যাটাসের বক্তব্য হেফাজতের দৃষ্টিতে আপত্তিকর মনে হয়। তারা পরদিন এর প্রতিবাদে সমাবেশ করে। ওই ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
পরে ১৬ মার্চ রাতে ঝুমন দাসকে আটক করা হয় এবং তার বিরুদ্ধে শাল্লা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার বাদী হয়েছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আবদুল করিম।
এই মামলায় ৩ আগস্ট নিম্ন আদালতে খারিজের পর, ২২ আগস্ট হাইকোর্টে জামিন আবেদন করা হয়।