চট্টগ্রাম আদালতের পুলিশ চেকপোস্টে বোমা হামলা চালিয়ে পুলিশ সদস্যসহ দুজনকে হত্যার দায়ে জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানের মৃত্যুদণ্ড ও জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
রোববার সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আব্দুল হালিমের আদালত এ রায় দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মনোরঞ্জন দাশ।
তিনি জানান, যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষে আলোচিত এ মামলায় জাহিদুল ইসলাম ওরফে বোমারু মিজানের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। এছাড়া অপর আসামি জাবেদ ইকবালের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো দুই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তবে বোমারু মিজান পলাতক রয়েছেন।
এর আগে, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জাবেদ ইকবালকে কড়া নিরাপত্তায় চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়। এ মামলার রায় উপলক্ষে আদালত চত্বরে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
২০০৫ সালের ২৯ নভেম্বর আদালতের পুলিশ চেকপোস্টে বোমা হামলা চালায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি। এতে পুলিশ কনস্টেবল রাজীব বড়ুয়া ও ফুটবলার শাহাবুদ্দীন আহমদ নিহত হন। আহত হন কনস্টেবল আবু রায়হান, সামসুল কবির, রফিকুল ইসলাম, আবদুল মজিদসহ ১০ জন। ওই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়।
সেই মামলায় ২০১৬ সালের ১৮ মে জাবেদ ইকবালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হলে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক। এর মধ্যে অন্য একটি মামলায় জেএমবির প্রধান শায়খ আবদুর রহমান, সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাই এবং জেএমবির সামরিক কমান্ডার আতাউর রহমান সানির ফাঁসির আদেশ হলে এ মামলা থেকে তাদের বাদ দেওয়া হয়।