বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

“আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির”

নিউজ ডেক্স:
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০২১
  • ২২৯ পাঠক পড়েছে

আদালত বন্ধ বা খোলা রাখার এখতিয়ার প্রধান বিচারপতির বলে মন্তব্য করেছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সাবেক আইনমন্ত্রী সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুর জানাজা শেষে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতে আদালতের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী এমন মন্তব্য করেন।

বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আবদুল মতিন খসরুর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আদালত বন্ধ বা আদালত খোলা রাখার যে এখতিয়ার সেটা প্রধান বিচারপতির, আমার নয়। কিন্তু আমার বিশ্বাস করোনা ভাইরাসের তীব্রতা বা করোনা ভাইরাস যদি কমে যায় এসব বিবেচনা করে প্রধান বিচারপতি সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নেবেন।

আবদুল মতিন খসরু সম্পর্কে আইনমন্ত্রী বলেন, খসরু সাহেবের সঙ্গে আমার পরিচয় ১৯৬৯ সাল থেকে। তখন তিনি ছাত্রলীগ করতেন। সিনিয়র আইনজীবী আব্দুল মতিন খসরু সাহেব একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তিনি ৫ বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী যখন প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হন তখন তাকে ছয় মাসের জন্য প্রতিমন্ত্রী করেছিলেন। তারপর ৯৭ সালের জানুয়ারিতে তাকে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পূর্নমন্ত্রী করা হয়েছিলো। ব্যক্তিগতভাবে তিনি আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধার। তিনি আমাকে স্নেহ করতেন। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সময় তিনি তখন মন্ত্রী ছিলেন, আমরা যেখানে কাজ করতাম, কাজ শেষ করে তিনি সন্ধ্যাবেলা আসতেন, আমাদের কাজ শেষ হলে তিনি বাড়ি ফিরতেন। ১৯৯৬ সালে ইনডেমনিটি অ্যার্ডিন্যান্স বাতিলের সময় জাতীয় সংসদে যে বক্তব্য দিয়েছিলেন সেটা মনে রাখার মতো। সেদিন তিনি মানুষকে কাঁদিয়ে ছিলেন।

‘সবচেয়ে বড় কথা তিনি সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একজন একনিষ্ঠ অনুসারি ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতি তার অগাধ বিশ্বাস ছিল। তিনি আইনজীবী হিসেবে একজন মেধাবী এবং অত্যন্ত প্রজ্ঞাবান আইনজীবী ছিলেন। তার মৃত্যুতে আইন অঙ্গণে একটা বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আমি জানি না এই শূন্যতা পূরণ হবে কিনা। তার মৃত্যুতে আমি অত্যন্তভাবে মর্মাহত হয়েছি। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। ’

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে আবদুল মতিন খসরুর জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। প্রধান বিচারপতিসহ জানাজায় অংশ নিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা, সুপ্রিম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিরা, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী, আইনজীবী ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতারা।

জানাজার আগে আবদুল মতিন খসরুর ছেলে আবদুল মুনায়েম ওয়াসিফ তারা বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান। জানাজা শেষে এই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। পরে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের পক্ষ থেকে তার কফিনে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের বিচারপতিদের নিয়ে, ডেপুটি স্পিকারের পক্ষে, আওয়ামী লীগের পক্ষে মাহবুব উল আলম হানিফ, আইনমন্ত্রী, অ্যাটর্নি জেনারেল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম, বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি,কৃষকলীগ, ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগের আইন উপ কমিটি, আবদুল মতিন খসরু অ্যাসোসিয়েটস, শ্রমিক লীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ ও ঢাকা আইনজীবী সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

জানাজা শেষে তার মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কয়েক দফা জানাজা শেষে নিজ গ্রামে দাফন করা হবে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে আবদুল মতিন খসরু ইন্তেকাল করেন।

জ্যেষ্ঠ এ আইনজীবী ২০২১-২০২২ সেশনের (মার্চে অনুষ্ঠিত) নির্বাচনে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। নির্বাচনের পর গত ১৫ মার্চ তিনি করোনা টেস্ট করান। টেস্টে পজিটিভ আসার পর ১৬ মার্চ তিনি সিএমএইচে ভর্তি হন। ২৮ মার্চ তাকে আইসিইউতে হস্তান্তর করা হয়। অবস্থার উন্নতি হলে ৩১ মার্চ তাকে কেভিনে নেওয়া হয়। পর দিন ১ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভ আসে। এর মধ্যে ফের তার অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সবশেষ মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) আবদুল মতিন খসরুকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।

উচ্চ আদালতের এ জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে ১৯৫০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক।

১৯৯১ সালে নৌকা প্রতীক নিয়ে কুমিল্লা থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তারপর ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৯ সালে মোট ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এর মধ্যে সপ্তম সংসদে (১৯৯৬-২০০১) আইনমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বর্তমান সংসদে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে রয়েছেন।

 

 

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580