আফগানিস্তান ইস্যুতে আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের শীর্ষ কূটনীতিকরা পাকিস্তানে বৈঠকে বসেছেন। আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করবেন। দেশটিতে তালেবান ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মানবিক পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়। এছাড়া হাজার হাজার আফগান নাগরিক প্রতিবেশী দেশগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ নভেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
আফগানিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকিও ইসলামাবাদে উপস্থিত ছিলেন কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবারের বৈঠকে যোগ দেননি। তবে পরে তিনি পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করবেন বলে জানা গেছে। পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি বৈঠকের শুরুতে সতর্ক করে বলেন, আফগানিস্তান অর্থনৈতিক পতনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে অবশ্যই পশ্চিমা দাতাদের দ্বারা বন্ধ করে দেওয়া অর্থায়ন পুনরায় চালু করতে হবে ও মানবিক সহায়তা প্রদান করতে হবে।
তিনি বলেন, আফগানিস্তানের আরও অর্থনৈতিক অবনতি নতুন তালেবান সরকারকে দেশ পরিচালনার ক্ষমতাকে সীমিত করবে। আফগানিস্তানের জন্য আন্তর্জাতিক তহবিল পুনরায় শুরু হলে দেশটির অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত ও স্থিতিশীল হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে জাতিসংঘ বারবার সতর্ক করে জানিয়েছে, আফগানিস্তান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। যেখানে অর্ধেকেরও বেশি মানুষ তীব্র খাদ্য ঘাটতির মধ্যে আছেন।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তান তালেবানের শাসন ছিল। এর মধ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আল-কায়েদার নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়ার অভিযোগে ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট আফগানিস্তানে যৌথ অভিযান চালায়, যার মাধ্যমে তালেবান শাসনের অবসান ঘটে।