এখন পর্যন্ত ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে ইস্ট মিডল্যান্ডস, ইস্ট অব লন্ডন, লন্ডন, নর্থ ইস্ট, নর্থ ওয়েস্ট, সাউথ ইস্ট, সাউথ ওয়েস্ট এবং ওয়েস্ট মিডল্যান্ডসে। এ খবর দিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল বলছে, ইংল্যান্ডে ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়ার পর স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, বৃটেনেও থাবা বসিয়েছে এই ভ্যারিয়েন্ট। এ খবর এমন এক সময়ে এলো, যখন শুক্রবার দিবাগত রাতেও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, তিনি চান এবারের বড়দিন যতটা সম্ভব স্বাভাবিকভাবে উদযাপন করুন বৃটিশরা।
তবে আয়ারল্যান্ড বলেছে, তারা এ সময়ে আধা-লকডাউন প্রক্রিয়া অবলম্বন করবে। মন্ত্রীদের কাছ থেকে এক সপ্তাহ ধরে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পেয়ে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তবুও তিনি বলেছেন, এরই মধ্যে জনগণ বড়দিন উপলক্ষে নানা রকম ইভেন্ট আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে। তিনি চান না তারা সেটা বাতিল করুক। জনসন মনে করেন, তার সরকার সীমান্তে কঠোরতা অবলম্বন করছে। এর ফলে আর কোনো বিধিনিষেধ দেয়ার প্রয়োজন হবে না।
ওদিকে আয়ারল্যান্ড নাইটক্লাবগুলো বন্ধ করে দিয়েছে।
বার এবং রেস্তোরাঁয় বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বদ্ধ স্থানে অনেকের জমায়েত কমিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুক্রবার রাতে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহান্তে বৃটেনের ভ্রমণ তালিকায় লাল চিহ্নিত দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হতে পারে। তাতে থাকতে পারে নাইজেরিয়ার নাম। বলা হচ্ছে, ওই দেশ থেকে কেউ বৃটেনে এলেই তাদেরকে হোটেলে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। কোভিড বিষয়ক মন্ত্রীদের সাব কমিটির একটি বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেখান থেকে আরো বিধিনিষেধ আসতে পারে।