ইন্টারনেট বন্ধ করা কোনো সঠিক সমাধান নয়, জনসচেতনতাই পারে অপব্যবহার থেকে মুক্তি দিতে। আর নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিত করতে হলে শুরুতে পরিবারকে এগিয়ে আসতে হবে। সন্তান কী ব্যবহার করছে তার খেয়াল আগে অভিভাবকদেরই করতে হবে।শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের দ্বিতীয়তলায় নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে আমাদের করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত এ সভায় ডিজিটাল শিক্ষা পদ্ধতি চালুসহ বিভিন্ন পরামর্শ তুলে ধরেন সংশ্লিষ্টরা। শুরুতে আয়োজক সংগঠনের হেড অব টেকনিক্যাল কমিটি ইঞ্জিনিয়ার মো. আবু সালেহ মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (বিটিআরসি) ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় বলেন, আমরা সচেতনতামূলক নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। অনেক কাজ চলমান। কিন্তু গ্রাহকদের কাছ থেকে সেভাবে সাড়া পাওয়া যায় না। অথচ তাদের কাছ থেকেই আগে সাড়া পাওয়া দরকার। কারণ ভুক্তভোগী তো তারাই প্রথম হয়।
তিনি জানান, পারিবারিক শিক্ষাটা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে পরিবারকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। সভায় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সেক্রেটারি জেনারেল মো. ইমদাদুল হক বলেন, আমাদের প্রত্যেক ইন্টারনেট গ্রাহককে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারের বিষয়ে সচেতনতায় চিঠি দিতে বলা হয়। আমরা মেইল, ডাকযোগ ও সরাসরি দশ হাজার চিঠি বিভিন্ন পরিবারের কাছে পাঠাই। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পরিবারের কাছ থেকে সাড়া পাইনি।
তিনি বলেন, একটি পরিবারের পক্ষ থেকেও আমাদের কাছে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে কোনো প্রশ্ন বা জানার আগ্রহ পাইনি। তার মানে কী সবাই বিষয়টা সম্পর্কে জানেন? কিন্তু আসলে তারা তেমন কিছুই জানেন না। এখান থেকে পরিষ্কার যে নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার বিষয়ে কতটুকু অনীহা রয়েছে আমাদের। অথচ প্রতিটি পরিবারের সদস্যই কিন্তু ইন্টারনেট ব্যবহার করছে।
সভায় আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আগামী দিনের সমৃদ্ধ ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই, তার জন্য আমাদের আরও দ্রুতগতির ইন্টারনেটের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি বিটিআরসি ও সব অপারেটরকে একযোগে জনসচেতনতা গড়ার আহ্বান জানান। আলোচনা সভায় বাংলালিংকের চিফ রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স তৈমুর রহমানসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।