‘প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে আমাদের লড়াই চলমান। তাই মনে রাখতে হবে উৎসব যেন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কথা ভুলিয়ে না দেয়। উচ্ছ্বাস যেন উদাসীন না করে তোলে। উচ্ছলতা যেন ঈদ আনন্দকে বিষাদে রূপ না দেয়।’
বুধবার সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
করোনায় বদলে দেওয়া দৃশ্যপটের কঠিন বাস্তবতায় ঈদ উদযাপনে দেশের জনগণ ও দলের নেতাকর্মীদের আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ঈদের শুভেচ্ছা জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমণ রোধে আমাদের লড়াই চলমান। তাই মনে রাখতে হবে উৎসব যেন স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনের কথা ভুলিয়ে না দেয়। উচ্ছ্বাস যেন উদাসীন না করে তোলে। উচ্ছলতা যেন ঈদ আনন্দকে বিষাদে রূপ না দেয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা বদলে দিয়েছে আমাদের চিরচেনা জগৎ, তবুও জীবন এগিয়ে যায় জীবনের নিয়মে। এই মহামারিতে ঈদ উদযাপনের বর্ণিলতায় ঘটেছে ছন্দপতন। তবুও জীবনের অনিবার্য প্রয়োজনেই আমরা গ্রহণ করি সংকট উত্তরণের চ্যালেঞ্জ। আমাদের এ চ্যালেঞ্জ উত্তরণের অসীম সাহসের দীপ শিখা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘সবার অব্যাহত সহযোগিতা ও স্রষ্টার অসীম কৃপায় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ আঁধার কেটে আশার আলোকিত ভোরে নোঙর করব ইনশাআল্লাহ। আমরা ফিরে পাবো চিরচেনা জগৎ এবং ফুলের সৌরভ ছড়ানো সকাল, পাখ-পাখালির কলকাকলিতে মুখর দিবস আর জ্যোৎসনালোকিত রজনী।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘অনেকেই আজ অসহায়, কর্মহীন, ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন, আকুল। তাই দলমত নির্বিশেষে অসহায় মানুষ, প্রতিবেশী এবং পিছিয়ে পড়া স্বজনদের সঙ্গে নিয়ে ঈদ আনন্দ উপভোগ করার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, পারস্পরিক সম্প্রীতি এবং সৌহার্দ্য বিনিময়ের মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ ঘরে ঘরে পৌঁছে দেই। পৌঁছে দেই প্রাণ থেকে প্রাণে। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমরা দাঁড়াই অসহায় মানুষের পাশে।’ তিনি বলেন, ‘করোনার এ সংকটকালে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে যারা পীড়িতদের সেবা করছেন, সেই সম্মুখ যোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি।’
দেশের জনগণকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। বলেন, ‘আসুন আমরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় ঈদ উদযাপন করি এবং সর্বোচ্চ সচেতনতায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।’ তিনি সবাইকে শতভাগ মাস্ক পরিধানসহ একে অপরের প্রতি সর্বোচ্চ সহমর্মী হওয়ার আহ্বান জানান।