এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া নির্মূল হওয়ার আগ পর্যন্ত স্থানীয় কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে সক্রিয় থাকবেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
রবিবার সকালে রাজধানীর বেরাইদ এলাকায় এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধের লক্ষ্যে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
মেয়র আতিক বলেন, ডিএনসিসির ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে অদ্যাবধি ডেঙ্গু রোগী চিহ্নিত হয়নি, তাই যেসব এলাকা এখনো ডেঙ্গুমুক্ত, সেখানকার কেউ যাতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়- সে জন্য সবাইকে প্রতিরোধমূলক কার্যক্রম আরো জোরদার করতে হবে।’ তিনি বলেন, সুস্থতার জন্য সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করতে সবার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কার’ এই স্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, নিজেদের বাসাবাড়িতে ফুলের টব, অব্যবহৃত টায়ার, ডাবের খোসা, চিপসের খোলা প্যাকেট, বিভিন্ন ধরনের খোলা পাত্র, ছাদ কিংবা অন্য কোথাও যাতে তিন দিনের বেশি পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এসব অব্যবহৃত জিনিস নিকটস্থ ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমা দিলে জমাদানকারীকে পুরস্কার দেওয়ার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
ডিএনসিসি মেয়র আরো বলেন, ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে এডিস মশার উৎপত্তিস্থল সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি তথ্যবহুল ছবি সরবরাহকারীকেও পুরস্কৃত করা হবে। তিনি বলেন, ‘ওয়ার্ড কাউন্সিলরের অফিসে জমা দেওয়া প্রতিটি অব্যবহৃত কমোড ও টায়ারের জন্য ৫০ টাকা এবং প্রতিটি ডাবের খোসা, রংয়ের কৌটা ও চিপসের প্যাকেটের জন্য ৫ টাকা হারে আর্থিক পুরস্কার প্রদান করা হবে।
করোনাকালে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, ‘মাস্ক আমার, সুরক্ষা সবার। তাই করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে আমাদের প্রত্যেককেই সঠিকভাবে মাস্ক পরাসহ সরকারি নির্দেশনা এবং স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।’
প্রধান অতিথি হিসেবে নিজের গুরুত্বপূর্ণ বক্তৃতা শেষে নগরবাসীর মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে এডিস মশা, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াবিরোধী বিভিন্ন ব্যানার ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত খোলা ট্রাকে করে ডিএনসিসির ১০ নম্বর অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন মেয়র আতিক।
এ সময় অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান এবং স্থানীয় কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন।