কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে গোলাগুলি ও একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছে বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। মার্কিন সেনাবাহিনী এরইমধ্যে এ হামলার খবর নিশ্চিত করে জানিয়েছে, নিহতের মধ্যে অন্তত এক ডজন মার্কিন সেনা সদস্যও রয়েছে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে যে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে দুটি বোমা হামলা হয়েছে।
আফগান সাংবাদিক বিলাল সারওয়ে জানিয়েছেন, ওই হামলায় দুইজন সন্ত্রাসী অংশ নিয়েছিল। এরমধ্যে একজন আত্মঘাতি বোমা হামলা করে এবং অন্যজন গুলি ছুড়তে শুরু করে। বিমানবন্দরের বাইরে যেখানে ভিসার কাজ চলছিল সেখানে ওই হামলা চালানো হয়। ঘটনায় আহত হয়েছে প্রায় ১৫০ জন।
বৃহস্পতিবার যখন হাজার হাজার মানুষকে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার করছিল মার্কিন বিমানগুলো তখনই এই বিস্ফোরণ ঘটে।
পেন্টাগনের মুখপাত্র প্রথম বিবৃতিতে বলেন, আমরা নিশ্চিত করছি যে কাবুল বিমানবন্দরের বাইরে বিস্ফোরণ হয়েছে। হতাহতের সংখ্যা এখনও জানা যায়নি। আমরা জানা মাত্রই বিস্তারিত প্রকাশ করবো। এর কিছুক্ষন পরেই তিনি জানান, হতাহতের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে কতজন মারা গেছেন তা এখনও অস্পষ্ট। উল্লেখ্য, এই ঘটনার আগেই মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন যে, কাবুল বিমানবন্দরে আত্মঘাতী বোমা হামলা হতে পারে এমন গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছেন তারা।
এদিকে বৃটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তারা কাবুল বিমানবন্দরের কাছে হওয়া ওই বিস্ফোরণের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সেখানে কী হয়েছে এবং কেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানতে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বৃটেন। টুইটারে প্রকাশিত ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, আমাদের সর্বোচ্চ উদ্বেগ হচ্ছে বৃটিশ নাগরিক, সেনা সদস্য ও আফগান নাগরিকদের নিরাপত্তা। এগুলো নিশ্চিতে আমরা মার্কিন ও ন্যাটো জোটের মিত্রদের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি।
ওই বিস্ফোরণের পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক ছবি ছড়িয়ে পরে। এতে দেখা যায় রক্তাক্ত একাধিক মানুষকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটিকেই বলা হচ্ছে তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখল করার পর প্রথম এ ধরণের কোনো বিস্ফোরণ।