কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, উৎপাদন খরচ কমিয়ে দেশের কৃষকদেরকে লাভবান করতে কৃষিখাতে ধারাবাহিকভাবে বিশাল পরিমাণ অর্থ ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিয়ে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এজন্য তিনি উপেক্ষা করেছেন বিশ্বব্যাংকসহ বিভিন্ন দাতা ও উন্নয়ন সহযোগীদের আপত্তি।

শনিবার ‘পারিবারিক কৃষি ও কৃষক: সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে সরকারি বাসভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি উৎপাদনকে কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে কাজ করছে। দেশের বেশিরভাগ কৃষকই পারিবারিক, ক্ষুদ্র, প্রান্তিক ও বর্গাচাষি। সেজন্য কৃষিকে লাভজনক করতে সরকার ক্রমাগতভাবে কৃষিবান্ধব নীতি গ্রহণ ও তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। উৎপাদন খরচ কমাতে এরই মধ্যে চার বার সারের দাম কমিয়েছে সরকার। প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে সারের দাম এখন অনেক কম। সেচ, বীজসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণও সহজলভ্য করেছে সরকার। এছাড়া, ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ ভর্তুকিতে কৃষকদেরকে দেওয়া হচ্ছে ধান কাটা, মাড়াইসহ বিভিন্ন কৃষিযন্ত্র।

ধান চাষ এখন লাভজনক উল্লেখ করে মন্ত্রী আরো বলেন, এসব প্রণোদনা প্রদান ও চাল আমদানিতে শুল্কারোপসহ সরকারের সময়োপযোগী উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছর ধরে কৃষকেরা ধানের ভাল দাম পাচ্ছেন এবং ধান চাষ করে লাভবান হচ্ছেন।

আম, আনারস, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসল চাষ কৃষকদের জন্য লাভজনক করতে বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

তিনি বলেন, দেশের ভিতরে ও বাইরে এসব কৃষিপণ্যের বাজারকে আরো বিস্তৃত করতে হবে। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি শিল্পোদ্যোক্তাদেরকে কৃষি প্রক্রিয়াজাতে বিনিয়োগ করতে হবে।

এ সেমিনারটির আয়োজন করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)। সেমিনারে বক্তব্য রাখেন এএলআরডির চেয়ারপার্সন খুশি কবির, সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স, এএলআরডির আজিম হায়দার, রওশন জাহান মনি।