বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত সাজা স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা জানান। এরই মধ্যে তার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তির মেয়াদ আরও ৬ মাস বাড়ানোর বিষয়ে মতামত দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়।
এর আগে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো–সম্পর্কিত নথিতে অনুমোদন দিয়েছে। সেই নথি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। আমরা ওনার (খালেদা জিয়া) দণ্ড আরও ছয় মাস স্থগিতের জন্য মতামত দিয়েছি।
বিদেশে যাওয়া যাবে না এবং বাড়িতে বসে চিকিৎসা নিতে হবে- আগের মতো এই দুটি শর্তে তার দণ্ড স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় মতামত দিয়েছে বলেও জানা গেছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী গত বছরের ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে ছয় মাসের মুক্তি পান। এরপর গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর তাঁর শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়। সর্বশেষ গত ২৫ মার্চ শর্ত সাপেক্ষে জামিনের মেয়াদ আরও ছয় মাস বাড়ানো হয়।
মুক্তির পর থেকে গুলশানে ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটিতে থাকেন খালেদা। মুক্তির পর কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি তিনি। পরিবারের সদস্য ছাড়া দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গেও দেখা করেননি তিনি।
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে ছিলেন খালেদা জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রথমে পাঁচ বছরের এবং পরবর্তী সময়ে তা বাড়িয়ে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত।