বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৪:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
দৈনিক আজকের সংবাদ পত্রিকার সংবাদ পড়তে এখন থেকে আমাদের নতুন ওয়েবসাইট www.dailyajkersangbad.com ভিজিট করুন। টাংগাইল বন বিভাগের দোখলা সদর বন বীটে সুফল প্রকল্পে হরিলুট আগ্রাবাদ ফরেস্ট কলোনী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হলেন মোজাম্মেল হক শাহ চৌধুরী ফৌজদারহাট বিট কাম চেক স্টেশন এর নির্মানাধীন অফিসের চলমান কাজ পরিদর্শন নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ করায় দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকবে: শেখ সেলিম সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের করমজল ইকোট্যুরিজম কেন্দ্র চলছে সীমাহীন অনিয়ম এলজিইডির কুমিল্লা জেলা প্রকল্পের পিডি শরীফ হোসেনের অনিয়ম যুবলীগে পদ পেতে উপঢৌকন দিতে হবে না: পরশ নির্বাচন যুদ্ধক্ষেত্র নয়, পেশি শক্তির মানসিকতা পরিহার করতে হবে: সিইসি

খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে : জনতা ব্যাংকের এমডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত সময় : বৃহস্পতিবার, ২৫ মার্চ, ২০২১
  • ৪৮৭ পাঠক পড়েছে

এক সময়ে সব চেয়ে সমালোচিত ব্যাংক ছিল জনতা ব্যাংক। এখন আর সেই সমলোচনা নেই। সমলোচনার ঊর্ধ্বে গিয়ে টানা তিন বছর ধরে জনতা ব্যাংক ইতিবাচক ধারায় ফিরেছে। খেলাপি ঋণ ৪২ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। ব্যাংকের সব ধরনের আর্থিক সূচকেও ধারাবাহিক অগ্রগতি হয়েছে। আর এই সফলতার পেছনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুছ ছালাম আজাদের মেধাবী নেতৃত্বের অবদান সর্বজনবিদিত। ১৯৮৩ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির সিনিয়র অফিসার হিসেবে যোগদানের মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করা এ ব্যাংকার একজন মুক্তিযোদ্ধাও। সম্প্রতি কথা বলেছেন আজকের সংবাদের সঙ্গে।

তিনি ব্যাংকের সার্বিক বিষয় তুলে ধরে বলেন, ব্যাংক গ্রাহকদের সর্বোত্তম সেবা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছি। আমাদের আর্থিক সূচকগুলোর ধারাবাহিক অগ্রগতি রয়েছে, যা টেকসই উন্নয়নের মাপকাঠি। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ আমানতের পরিমাণ ১৯ দশমিক ১৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৮২ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা অর্জিত হয়েছে। এছাড়া ঋণ ও অগ্রীমের পরিমাণ ১০ দশমিক ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৬০ হাজার ৪৯৫ কোটা টাকা উন্নীত হয়েছে। এছাড়া ২০২০ সালে করোনার মধ্যে পরিচালনা মুনাফা হয়েছে ৯৫২ কোটি টাকা। মোট সম্পদ গত বছরের তুলনায় ১৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ বৃৃদ্ধি পেয়ে ১ লাখ ৪ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা হয়েছে। ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাতে (এডিআর) দাঁড়িয়েছে ৭৩ দশমিক ৪২ শতাংশ। এছাড়া ২০২০ আমদানি হয়েছে ১৮ হাজার ৬২৯ কোটি টাকা ও রফতানি হয়েছে ৯ হাজার ৩০১ কোটি টাকা। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়েছে ৭ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা। এছাড়া ২০১৯ সালে ব্যাংকের শ্রেণীকৃত ঋণের পরিমাণ ছিল ১৪ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা তা কমিয়ে ২০২০ সালে ১৩ হাজার ৭০৫ কোটিতে আনা হয়েছে। শ্রেণীকৃত ঋণের হারের ২৭ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে আনা হয়েছে। শ্রেণীকৃত ঋণ থেকে ১৭৯ কোটি টাকা ও অবলোপনকৃত ঋণ থেকে ৪৮ কোটি টাকা নগদ আদায় করা হয়েছে। এতে বোঝা যাচ্ছে ব্যাংকটির প্রতি গ্রাহকদের আস্থা ফিরে এসেছে।

তিনি বলেন, করোনাকালীন সময়েও ব্যাংকের সমস্ত কার্যক্রম চলমান ছিল এখনো আছে। ব্যাংকে সর্বত্র তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এ লক্ষ্যে একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের কঠোর পরিশ্রমের ফসল হিসাবে জনতা ব্যাংককে বিশ^মানের না হলেও গ্লোবাল ব্যাংকিংয়ের সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে পারবো।

তিনি বলেন, নতুন বছরে আমরা এসএমই খাতে ঋণ দেওয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছি। এছাড়া সরকারের যেসব প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করতে সর্বাত্মক চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতেই আমরা এসএমই খাতে ঋণ দেওয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছি। এছাড়া প্রতিবছর ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিটেন্স আসার পরিমাণ বাড়ছে। জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে আসার পরিমাণ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত বছর প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকার রেমিটেন্স এসেছে জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে। ২০২১ সালে প্রবাসীদের পাঠানো বৈদেশিক রেমিটেন্স জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ হাজার কোটি টাকায় উন্নীত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জনতা ব্যাংক পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের বড় সফলতা হলো ঋণ কেলেংকারির সাথে যারা জড়িত ছিল এমন ২৫০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই অ্যাকশানের কারণে বিগত দুই বছরে ঋণ সংক্রান্ত কোনো স্ক্যান্ডেল হয়নি। ফোর্স ঋণের কোনো সুযোগ নেই। কেননা এখন সবাই সচেতন হয়ে গেছে। সকলে জেনে গেছে যে, অন্যায় করলেই শাস্তি পেতে হবে। ব্যাংকের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান বোর্ড অব ডিরেক্টরদের মধ্যে চমৎকার বোঝাপড়া রয়েছে। করোনা মধ্যেও নিয়মিত বোর্ড মিটিং হয়েছে। ঋণ দেওয়াসহ প্রত্যেকটি বিষয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়। জনতা ব্যাংক অবশ্যই সফল হবে। কেননা আমাদের রয়েছে দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা। বর্তমানে জনতা ব্যাংকের ১৩ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারির মধ্যে ৮ হাজারের বেশি তরুণ জনবল। তাদের মেধা ও কর্মদক্ষতা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে জনতা ব্যাংক সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই।

জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুছ ছালাম আজাদও মনে করেন, খেলাপি ঋণ বাড়ার জন্য দায়ী অ্যানন টেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপ। তবে খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন, অ্যানন টেক্স তাদের ঋণ নিয়মিত রাখার কথা দিয়েছে। চলতি মাসেই তারা তাদের ঋণের উল্লেখযোগ্য একটা অংশ দিয়ে দেবে। এ সংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্র রেডি করা হয়েছে। ২০২১ সালে অ্যানন টেক্স ও ক্রিসেন্ট গ্রুপসহ সকলের ঋণ নিয়মিত রাখার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর শেষে জনতা ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা। চলতি ২০২১ এর জানুয়ারিতে ৪ হাজার কোটি টাকা আদায় হবে। এতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমে ৯ হাজারের কিছু বেশি থাকবে। ২০২১ সালে ডিসেম্বর পর্যন্ত তা ৬ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হবে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনাকে আমরা চ্যালেঞ্জ হিসাবে নিয়েছি।
তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বের সকল প্রতিষ্ঠানই কম বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব বিবেচনায় বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতির চাকা অনেকটা সচল রয়েছে। বছরের শেষে জনতা ব্যাংক পরিচালন মুনাফা, রেমিটেন্স বৃদ্ধিসহ অনেক সূচকেই সফলতা দেখিয়েছে। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে ২০২১ সালে আমরা বড় ঋণ বিতরণের চেয়ে ছোট ছোট বা এসএমই ঋণ দেওয়াকেই প্রাধান্য দিচ্ছি। এসএমই ঋণ বিতরণের জন্য ভাল গ্রহীতা খুঁজছি। বিদায়ী বছর লক ডাউনের শুরু থেকেই বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি ধরে রাখতে ব্যাংকিং সেবা চালু রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে প্রত্যেকটি ব্যাংক প্রয়োজনীয় মিটিংগুলো ভার্চুয়ালি করে আসছে। কেননা করোনায় দেশের ব্যাংকি কার্যক্রমসহ অর্থনীতির চাকা সচল রাখার জন্যই আমরা এ ভার্চুয়াল বোর্ড মিটিং করে আসছি। ২০২১ সালেও ব্যাংকিং সেক্টরের জন্য চ্যালেঞ্জিং হবে। কেননা করোনার মহামারি এখনো চলমান। তবে গত বছরের তুলনায় ভীতি কমে যাওয়ায় ক্ষুদ্র ব্যবসায় গতি পাবে। সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারলে ব্যাংক ব্যবস্থাও গতিশীল হবে।

তিনি বলেন, প্রতিটি দিনই আমাকে সংগ্রাম করতে হয়েছে। পথ চলতে হয়েছে পূর্বসূরিদের দ্বারা সৃষ্ট বড় দুটি ঋণ কেলেঙ্কারির বোঝা বয়ে নিয়ে। স্কুলজীবনে বই-খাতা ছুড়ে ফেলে বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলাম। যৌবনের প্রারম্ভে যুদ্ধ করার সেই সুখস্মৃতি আমাকে কণ্টকাকীর্ণ এ পথ চলতে সাহস জুগিয়েছে। অন্যথায় এত বেশি নেতিবাচক সংবাদের ভিড়ে আমার হারিয়ে যাওয়ার কথা। এ দুটি গ্রুপের কাছেই আটকা পড়েছে ব্যাংকের প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ। বিপুল অংকের এ ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়াটি জনতা ব্যাংকের জন্য বড় দুর্ঘটনা। ২০১৮ সালে আমাদের ব্যাংকের খেলাপি ঋণ ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে যায়। এ অবস্থায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো গণমাধ্যমে জনতা ব্যাংক সম্পর্কে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ হতে থাকে। ব্যাংকের কর্মীরাও মনোবল হারাতে থাকে। ওই অবস্থা থেকে জনতা ব্যাংককে টেনে তোলাটি ছিল বিশাল চ্যালেঞ্জ। আমরা এ চ্যালেঞ্জে জয়ী হয়েছি।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ ও জনতা ব্যাংকের জন্ম সমসাময়িক সময়ে। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে দেশে শিল্পায়ন বলতে তেমন কিছুই ছিল না। দেশের শিল্পায়নের বর্তমান পরিস্থিতিতে আসার ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ অবদান আছে। নামকরা বেশির ভাগ শিল্প গ্রুপই জনতা ব্যাংকের হাত ধরে আজকের অবস্থানে এসেছে। এখনো দেশের শীর্ষ করপোরেটরা আমাদের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তবে এ মুহূর্তে আমরা দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা উদ্যোক্তাদের ঋণ দেওয়ায় বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। জন্মলগ্নেই জনতা ব্যাংকে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের অংশগ্রহণ ছিল। এজন্য বঙ্গবন্ধু এ ব্যাংকের নাম জনতা রেখেছিলেন। আমরা প্রকৃত অর্থেই দেশের আমজনতার ব্যাংক হতে চাই।

তিনি বলেন, ব্যাংকের সব সেবায় প্রযুুক্তির সংমিশ্রণকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। গত কয়েক বছরে প্রযুক্তি খাতে জনতা ব্যাংকের ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। সবচেয়ে বড় সুসংবাদ হলো, আমরা নিজেদের উদ্ভাবিত সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করছি। এরই মধ্যে জনতা ব্যাংকের কর্মীরা ৬০টি সফটওয়্যার উদ্ভাবন করেছে। ব্যাংকের সবকটি শাখা কোর ব্যাংকিং সলিউশনের আওতায় আনা হয়েছে। পুরনো ধ্যান-ধারণা পাল্টে জনতা ব্যাংক এখন আধুনিক প্রযুক্তি সমৃদ্ধ একটি ব্যাংক।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের শিল্পোন্নয়নে ব্যাংক খাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকিং সেক্টরের মোট ঋণের বড় অংশই শিল্প খাতে বিতরণ করা হয়। ফলে বাংলাদেশের শিল্প বিকাশে ব্যাংকিং সেক্টরের অবদান অপরিসীম। এ ছাড়া, শিল্পের পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা তৈরি, আমদানি-রফতানি ব্যবসার প্রসার, এসএমই খাতের উন্নয়ন, কৃষি খাতের উন্নয়ন, মহিলা উদ্যোক্তা ঋণ এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে ব্যাংকগুলো ব্যাপক অবদান রাখছে।

২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের খেলাপি ঘোষণা না করার যে নির্দেশনা ছিল ২০২১ সালে তার প্রভাব পড়বে কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুছ ছালাম আজাদ বলেন, অবশ্যই কিছুটা প্রভাব তো পড়বেই। খেলাপির পরিমাণ কিছুটা বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে ৬ মাস সময় বৃদ্ধির দাবিকে যৌক্তিক বলে উল্লেখ করেছেন তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবিকে আমরা ইতিবাচক হিসেবেই দেখছি। বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। তাই ব্যবসায়ীদের দাবি যৌক্তিক। কেননা কিস্তি পরিশোধে টাকার পরিমাণ বেড়ে যাবে অর্থাৎ ডাবল চাপ পড়বে। এ ক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হলো গ্রাহকরা কিস্তির মাধ্যমে যে ঋণ পরিশোধ করবে এই কিস্তিরও কিস্তি করে দেওয়া। এটা করলে গ্রাহকরা তাদের ব্যবসা ভালোমতো চালিয়ে নিতে পারবে।

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580