অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য মূলত ধনী দেশগুলো দায়ী। তাদের জনসংখ্যা মাত্র ৫ শতাংশ। অথচ ৫ শতাংশ জনসংখ্যা নিয়ে এরা ২২ শতাংশ কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করছে। অন্যদিকে আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার হচ্ছি।
বুধবার ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে ‘ফার্স্ট ক্লাইমেট ভালনারেবল ফাইন্যান্স সামিট’ এ এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মানুষের সৃষ্টি। আমরা এর জন্য দায়ী না। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য ধনী দেশগুলো দায়ী হলেও এটি মোকাবিলায় ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশকে বছরে ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করতে হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, মাতারবাড়িতে যে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র তৈরি হবে এটা তেমন কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করবে না। এছাড়া রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি, এখানে ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করা হবে না।
জলবায়ু পরিবর্তনের শঙ্কা প্রসঙ্গে মুস্তফা কামাল বলেন, ফসিল ফুয়েল ব্যবহার করার কারণে বিশ্ব উত্তপ্ত হচ্ছে। বিমান ভ্রমণেও সমস্যা হচ্ছে। অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশের বিশাল বরফখণ্ড গলতে শুরু করেছে। এর ফলে আমাদের দেশের নিচু অংশ ডুবে যাবে।
উন্নত দেশগুলোর সহায়তা ছাড়া জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যা মোকাবিলা করা সম্ভব নয় উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। এ বিষয়ে জনমত সৃষ্টি হচ্ছে। আমরা সবাই জানি ২০০৩ সালে ইউরোপে ৭০ হাজার মানুষ মারা গেছে শুধু জলবায়ু পরিবর্তন জনিত সমস্যার কারণে।