জ্বালানি তেলের বর্ধিত মূল্য প্রত্যাহার করে আগের দরে ফেরত আনার সুপারিশ করেছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে তুলনা বিশ্লেষণ করে সংস্থার পক্ষে বলা হয়, গত সাত বছরে এ বাবত সরকারের লোকসানের চেয়ে মুনাফার পরিমাণ বেশি। এ ছাড়া বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) বিক্রি এবং সরবরাহ পর্যায়ে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলেই দাম বৃদ্ধির কোনো প্রয়োজন পড়ে না। করোনার অভিঘাত থেকে পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়ায় জ্বলানির দর বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে সাধারণ জনগন চাপে পড়বে। অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হবে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ সুপারিশ এবং যুক্তি তুলে ধরে সিপিডি। ‘জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি কতটুকু প্রয়োজন ছিল?’ নামে এই সংবাদ সম্মেলন রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জ্বালানি তেলের জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি তুলে ধরেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।
সংস্থার সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থনেতিক দৃষ্টিকোণ থেকে এক মুহূর্তে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। নৈতিক ভাবেও সঠিক হয়নি। রাজনৈতিকভাবেও এটি একটি ভুল সিদ্ধান্ত। সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জম, সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান প্রমুখ।