সোমবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :

টিকা সংগ্রহে স্বেচ্ছাচারিতায় জাতি দুশ্চিন্তায় : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক :
  • প্রকাশিত সময় : শনিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৩৫৯ পাঠক পড়েছে

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, করোনাভাইরাসের টিকা সংগ্রহে স্বেচ্ছাচারিতা ও নতুন অনিশ্চয়তার সংবাদ আবারও সমগ্র জাতিকে গভীর হতাশা ও দুশ্চিন্তায় নিমজ্জিত করেছে। সরকার এক ব্যবসায়ীর প্রতিষ্ঠানকে টিকা সরবরাহের একচেটিয়া সুবিধা দিতে গিয়ে সমগ্র জাতিকে ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে।

শনিবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রথম থেকেই ভারতের বিকল্প সূত্র থেকেও টিকা কেনার পরিকল্পনা নিলে আজ এ নিদারুণ অনিশ্চয়তায় পড়তে হতো না। আমরা প্রথম থেকেই এ কথাই বলে আসছিলাম। এখন অবিলম্বে অন্য সূত্র হতে পর্যাপ্ত টিকা সংগ্রহের করুন।’

তিনি আরও বলেন, ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ও সুপরিকল্পিত নীতি প্রণয়ন না করার কারণে বিভিন্ন সময় যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তা ইতিমধ্যে অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। চলমান লকডাউনের নামে শাটডাউন অপরিকল্পিত সিদ্ধান্তের সর্বশেষ উদাহরণ। এবারকার লকডাউনে মানুষের দুরবস্থা চরম আকার ধারণ করেছে। এর মূলে দুটি কারণ, একটি রাজনৈতিক, অন্যটি অর্থনৈতিক। লকডাউনের নামে মূলত সরকার বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল ও আন্দোলনকারী আলেম-ওলামাদের বিরুদ্ধে ক্র্যাকডাউন ঘোষণা করেছে। লকডাউনের শুরুর দিন থেকেই সারা দেশে ব্যাপকভাবে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ঢালাওভাবে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। দেশের প্রখ্যাত আলেম-ওলামাসহ বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের শত শত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালানো হচ্ছে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এছাড়া সরকারের অপকর্ম, দুর্নীতি, অত্যাচার, নির্যাতন ও ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে যাতে কেউ কোনো শব্দ উচ্চারণ করতে না পারে, সে জন্য সবাইকে কোনো না কোনোভাবে নিবর্তনমূলক আইনের আওতায় এনে কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত ১৭ মাসের এই দীর্ঘ সময়েও করোনা প্রতিরোধে ন্যূনতম ব্যবস্থাপনা কৌশল গড়ে তুলতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকার। প্রথমবার করোনার প্রকট অজানা থাকার কারণে সম্যক প্রস্তুতি নেওয়া হয়নি বলে দাবি করা হয়। কিন্তু এবার করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় তো আর তা বলা যাবে না। বিগত এক বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে আগাম সমন্বিত বৈজ্ঞানিক পরিকল্পনা বা একটি কার্যকরী রোডম্যাপ প্রণয়ন করতে সরকার চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।’

বাংলাদেশে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ অনেক বিলম্বে এসেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের অনেক সময় পেয়েছিল। কিন্তু তারা তা করেনি। সরকার এ সময় শতবার্ষিকী উদযাপনসহ নানা জনাকীর্ণ অনুষ্ঠানমালা নিয়ে ব্যস্ত ছিল। করোনার মধ্যেই বিভিন্ন স্তরের নির্বাচন করা হলো। পর্যটনের ক্ষেত্রেও লোকজনকে সীমিত করা হলো না। এই অনির্বাচিত অবৈধ সরকার জনগণের কল্যাণের তোয়াক্কা না করে রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নেই ব্যস্ত ছিল বেশি।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বাস্থ্যসেবা খাতে গত এক বছরে সক্ষমতা বাড়েনি, বরং দুর্নীতি বেড়েছে। এ সময় দুর্নীতির সব সীমা অতিক্রম করেছে সরকার। ঢাকায় ৩১ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত করোনা ফিল্ড হাসপাতালটি কিভাবে উধাও হয়ে গেল, তা জনগণ জানতে চায়। মহাখালীর ডিএনসিসি মার্কেটের একই ভবনে ১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে চালুকৃত করোনা হাসপাতালটি অলস ও অব্যবহৃত রেখে একই ভবনে অন্য তলায় আড়ম্বরপূর্ণভাবে পুনরায় নতুন একটি করোনা হাসপাতাল চালু করার অর্থ কী, জনগণ জানতে চায়।’

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্যখাতের চরম অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির মহোৎসবের সঙ্গে সাম্প্রতিক এই দুর্নীতির কাহিনি সবাইকে হতবাক করেছে। যারা মনিটরিং করবে সেই শর্ষেই ভূত থাকলে দুর্নীতির কি কোনো পরিসীমা থাকে?’

 

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580