কক্সবাজার জেলার সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের নিরহ জনসাধারণ ভূমিসংক্রান্ত সরকারি সেবায় নানা রকম ভোগান্তি পোহাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট কর্তা ব্যক্তিরা সেবার নামে গরীব জনসাধারণের পকেট কাটছে বলে একাধিক সূত্রের অভিযোগ। ভূমি আইন বিরুধী অনৈতিক কর্মকান্ডে অসাধু চক্র তাদের ষুষ চাহিদার অপকর্ম চালিয়ে গেলেও উবর্ধতন কতৃপক্ষ নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।অসাধু চক্রটিকে তাদের চাহিবামাত্র খায়েশ অবস্থাবান ও সম্পদশালীরা প্রয়োজনীয় কাজটি আদায় করে নিলেও গরীব,নিন্মবিত্তরা তাদের আবদার না মেটানোয় বছরের পর বছর গুরুত্বপূর্ণ কাজটি আটকা পড়ছে।এ
কাধিক ভূমি সেবাপ্রার্থীর অভিযোগ নামজারি মামলা,আপিল,জমি সংক্রান্ত তদন্ত, ডিসিআর ও দাখিলায় ঘুষের রেট আগের চেয়ে দ্বিগুণ পরিমানে বৃদ্ধি পেয়েছে।উপজেলা ভূমি অফিসে কানুনগো, সার্ভেয়ার সহ কয়েকজন সহকারী মিলে পুরো অফিসকে দূর্নীতির আখড়া বানিয়ে ছাড়ছেন।শাহপরীদ্বীপের মোঃ আমিন জানান, সার্ভেয়ারের টেবিলে আটকা পড়েছে তার একটি তামিলনামা।ঐ তামিলনামা চুড়ান্ত করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা ঘুষ চান সার্ভেয়ার দেলাওয়ার।দেলাওয়ারের পক্ষে কতিপয় উম্মেদার কাজটি সম্পাদন করার জন্য প্রথম ধাপে ৫ হাজার টাকা নিলেও কাজের অগ্রগতি সিকিভাগও হয়নি।উল্টো তামিল রিপোর্ট হাল নাগাদ হওয়ায় তার নামে সৃজিত নামজারি মামলাটি খারিজ হওয়ার দ্বার প্রান্তে।
খোঁজ নিয়ে দেখাগেছে নিজের পদের বাইরে কানুনগোর অতিরিক্ত দায়িত্বেও রয়েছে সার্ভেয়ার দেলোয়ার।কানুনগো আবুল আলম করোনা রোগে মারা যাওয়ায় প্রায় ৮ মাস ধরে এ দায়িত্বে থেকে খতিয়ান বানিজ্য সহ ভূমি সংক্রান্ত নানা কাজে টিকাদারীর ভূমিকা পালন করছে।উপজেলা ভূমি অফিসের দ্বিতীয় ব্যক্তি হওয়ায় সার্ভেয়ার দেলোয়ারের এখন মহা দাপট।অনেক নামজারি মামলা তার খায়েশ পূরণ করতে না পারায় স্তুুপ আকারে আটকা রয়েছে অভিযোগ করেছে বাহারছড়া ইউনিয়নের নোয়াখালী পাড়ার নুরুছব্বি।তিনি কাকুতির সূরে জানান,সংশ্লিষ্ট তহসিলদার তার নামজারি ফাইলটি উপজেলা ভূমি অফিসে অগ্রবর্তি করার পর থেকে দেলোয়ারের আঙ্গাবহ উমেদার দালালদের কয়েকজন খতিয়ান চুড়ান্তের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১০ হাজার টাকা দাবি করলেও তিনি তাতে সায় দেননি।এ কারণে ফাইলটি অগ্রবর্তি না করে উল্টো খারিজ করার হুমকি দিচ্ছেন। একই অভিযোগ করেছে মোবাশ্বেরা বেগমও।
তিনি জানান, গত ৫ মাস ধরে উপজেলা ভূমি অফিসে উপস্থিতি রয়েছে তার।তার একটি জমাভাগ মামলা কানুনগোর কাছে প্রক্রিয়াধীন।কিন্তুু দায়িত্বপ্রাপ্ত কানুনগো দেলোয়ার তার কাছে ১৫ হাজার টাকা চাওয়ায় এই গরীব মহিলার সাধ্যে কুলোয়নি।এর পরও তিনি পৈত্রিক সম্পত্তির চুড়ান্ত অংশীদার হতে বড় কর্তার কাছে ধরর্ণা দিচ্ছেন।টেকনাফ সদরের কে কে পাড়ার জাহেদ আহমেদ জানান,পৌর এলাকায় জমির নামজারিতে অত্যধিক অবৈধ লেনদেন হচ্ছে এই ভূমি অফিসে। ঘুষের কাছে হার মেনে চূড়ান্ত পর্ছা দলিলে রেজিষ্ট্রিও হচ্ছে।ভূমি অফিস থেকে প্রদেয় নকশায় ব্যাপক জালিয়াতি হলেও এই অফিসের বিগবসের এদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই। অর্থের লোভে ভুমি কর্তাদের এই রুপ কাজে জমির প্রকৃত সত্ববানরা চরম ক্ষতির মুখে পড়েছে।
শুধুই তাই নয়, দেলোয়ারের নেতৃত্বে দূর্নীতি পরায়ণরা অফিস কেন্দ্রীক সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছে। তারা নামজারি,আপিল,তদন্ত সহ প্রভৃতি কাজে অতিরিক্ত টাকার লোভে জমির পক্ষে বিপক্ষে তত্ত্ব ফাঁশ করে খতিয়ানের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। এমনকি এক পক্ষের কাছথেকে ঘুষ নিয়েও অপর পক্ষকে উবর্ধতন কতৃপক্ষে অভিযোগ দেয়ার প্রলোবনে নিয়মিত উৎসাহ দিচ্ছে। সেন্টমার্টিন দ্বীপের শফি আলমের অভিযোগ ভিন্ন। তার অভিযোগ কানুনগো দেলাওয়ারের উপস্থিতিতে সংশ্লিষ্ট চেইনম্যান জমি পরিমাপের পর মন্তব্য কলামে পরিমাপের বৃত্তান্ত তুলে দিলেও অফিসে গিয়ে ঐ মন্তব্য পত্রে ঘষামাজা করে তার জমির পরিমাণ হ্রাস করে দিয়েছেন।কানুনগোই বিধিবহির্ভূত এ কাজের রুপকার বলে জানান তিনি।