প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ২০২৬ সালের জুন মাসে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে (DAEEP) নির্মাণ প্রকল্পের স্ট্যাটিক লোড টেস্টের পাইলট পাইল বোরিং উদ্বোধনের সময় এসব কথা বলেন তিনি।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় তুরাগ থানার ধউর এলাকায় সবুজ নিশান উড়িয়ে পাইল বোরিং এর শুরু করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এ প্রকল্পের জন্য লোন চুক্তি সম্পন্ন হবে। আমাদের আর্থিক কোন সমস্যা নেই।
তিনি আরও বলেন, আগামী বছর আমরা চট্টগ্রামে নির্মীয়মাণ কর্ণফুলী টানেলের ৭০ শতাংশ কাজ শেষ করতে পারবো,এ ছাড়া মেট্রোরেল প্রকল্প আগামী বছর সমাপ্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,শুরুতেই হোঁচট খাওয়ার কোন কারণ নাই, বর্তমানে যে সকল রাস্তা রয়েছে সেখানে যেন ভোগান্তি না হয় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, রাস্তা যেভাবে আছে থাকুক। অনেক মানুষ বিকল্প পথ হিসেবে এই পথ ব্যবহার করে থাকে। আমি ভোগান্তির বিষয় এড়িয়ে চলতে বলব। রাস্তা যেন ব্যবহারের উপযোগী থাকে। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় হবে ১৬ হাজার ৯০১ দশমিক ৩২ কোটি টাকা। যার মধ্যে বাংলাদেশ সরকার বহন করবে ৫ হাজার ৯৫১ দশমিক ৪২ কোটি টাকা এবং চীন সরকার (G 2 G) বহন করবে ১০ হাজার ৯৪৯ দশমিক ৯১ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে এক্সিম ব্যাংক অফ চায়নার আর্থিক সহায়তা দিবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে লোন চুক্তি সম্পন্ন হবে। আজ থেকেই এ প্রকল্পের নির্মাণকাজ শুরু বলা যায়।
প্রকল্প কাজের সঙ্গে জড়িতদের উদ্দেশ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি পরিষ্কার বলে দিতে চাই, শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে সকল প্রকল্পের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে। এখানে কোন দূর্নীতি করার সুযোগ নেই। চার লেন বিশিষ্ট এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দৈর্ঘ্য হবে ২৪ কিলোমিটার। এয়ারপোর্ট-আবদুল্লাহপুর-ধউর-বড় আশুলিয়া-জিরাবো-বাইপাইল হয়ে ঢাকা ইপিজেড পর্যন্ত এর বিস্তৃতি হবে । এর সঙ্গে র্যাম্প হবে ১০ দশমিক ৮৪ কিলোমিটার, নবীনগরে ১ দশমিক ৯১৫ কিলোমিটার ফ্লাইওভার, ৪ লেনের ২ দশমিক ৭২ কিলোমিটার সেতু ও ১৮ কিলোমিটার ড্রেন।
এই প্রকল্পের সম্পূর্ন কাজ করবেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশন।
২০১৭ সালে একনেক সভায় ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প চূড়ান্ত অনুমোদন লাভের পর ৫ বছর মেয়াদে ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও নতুন করে কাজ সমাপ্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক মো. শাহাবুদ্দিন খান, আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ফারুক হাসান তুহিন,আশুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শাহাব উদ্দিন মাদবর প্রমুখ সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ।
