করোনাভাইরাস মহামারীর পরিস্থিতি বিবেচনায় গত বারের মতো এবারও আশুরায় মুসলিম শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত ৬ অগাস্ট বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সকল ধর্মের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ইতোপূর্বে আরোপিত বিধি-নিষেধ বহাল থাকবে।
“একই সাথে পবিত্র মুহাররম উপলক্ষে সকল প্রকার তাজিয়া মিছিল, শোভাযাত্রা, মিছিল ইত্যাদি বন্ধ থাকবে।”
তবে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণপূর্বক আবশ্যক সকল ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান প্রতিপালিত হবে।
এবছর ২০ অগাস্ট আশুরা পালিত হবে।
হিজরি ৬১তম বর্ষের (৬৮০ খ্রিস্টাব্দ) ১০ মহররম ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (স.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রা.) শহীদ হন।
দিনটিকে ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে বাংলাদেশে ধর্মপ্রাণ মুসলমান বিশেষ করে শিয়া মুসলমানরা ধর্মীয় অনুশাসনের মধ্য দিয়ে পালন করেন। দিনটিতে ঢাকার বিভিন্ন জায়গা থেকে বের করা শোকের মিছিল।
২০১৫ সালে তাজিয়া মিছিলের আগে হোসাইনী দালানের ইমামবাড়ায় বোমা হামলায় দুজন নিহত হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর মিছিলটিতে কড়া নজরদারি রাখছে পুলিশ।
তারপর থেকে কড়া নিরাপত্তায় প্রতিবছর দিনের বেলা তাজিয়া মিছিল অনুষ্ঠিত হত। তবে মহামারীর কারণে গতবার তা হয়নি, ঘরোয়াভাবে অনুষ্ঠান হয়েছে।
হোসাইনী দালান ইমামবাড়ার তত্ত্বাবধায়ক এমএম ফিরোজ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এবারও শুক্রবার সকাল ১০টায় ইমামবারার ভেতরেই বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।