শুরুর দিকে দাম পেলেও হঠাৎ করে ধ্বস নেমেছে দিনাজপুরের “টমেটো”র বাজারে। কৃষকরা অর্ধেক দামেই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। ক’বছর ধরেই এই টমেটো আবাদ করে বেশ লাভবান হলেও এবার বাজারে দাম না পেয়ে কৃষকরা হতাশ। লাভের আশায় টমেটো আবাদ করে এখন পুজি বাজানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রচুর আমদানী হলেও পাইকাররা বলছেন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা কমে গেছে। কৃষকদের সবরকম সহযোগিতা প্রদানের কথা জানালেন জেলা কৃষি কর্মকতা।
দিনাজপুরে দিনে দিনে টমেটো আবাদ কৃষকদের মাঝে আগ্রহ সৃষ্টি করছে। এ অঞ্চলে ফেব্রুয়ারী, মার্চ পর্যন্ত আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা থাকায় নাবি জাতের টমেটো দেরীতে আবাদ হওয়ায় ফলন ভালো হয়। প্রতি মৌসুমে এ অঞ্চলের সর্ববৃহৎ গাবুড়া বাজার থেকে কোটি কোটি টাকার টমেটো বেচাকেনা হয়।
এসব টমেটো যায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, মানিকগঞ্জ, সিলেট, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৪০ থেকে ৫০ ট্রাক টমেটো যায়। প্রতিদিন এসব বাজার থেকে ৩ থেকে ৪শ’ টন টমেটো বেচাকেনা হয়ে থাকে। প্রথম দিকে বাজারে প্রতিমন ৭শ থেকে ৮’শ টাকা বিক্রি হলেও গত ৪দিন থেকে ২৫০ টাকা থেকে ৩শ টাকা।
কৃষকরা বলছে, এই দামে বিক্রি করে তাদের উৎপাদন খরচ উঠছে না। আবার বিক্রি করতে না পেরে টমেটো পচে যাচ্ছে অনেকের। পাইকার ও ব্যবসায়ীরা বলছেন করোনা পরিস্তিতির পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ টমেটোর চাহিদা কমে গেছে। এই অবস্থায় রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় চাহিদা তেমন নাথাকায় দাম অর্ধেকে নেমে এসেছে।
এলাকার ইউপি চেয়ারম্যান ও ইজারাদার মমিনুল ইসলাম জানান, প্রতিবছর বিভিন্ন জেলা থেকে বেপারীরা এখান থেকে ৬০ থেকে ৬৫ ট্রাক টমেটো কিনে নিয়ে যায়। এবার ক্রেতার সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে। করোনা পার্দুভাব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ টমেটোর বাজাওে প্রভাব ফেলেছে। তিনি পচনশীল এই পণ্যটি সংরক্ষনের জন্য হিমাগার স্থাপনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দিনাজপুরের টমেটো দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে বলে জানালেন কৃষি বিভাগের অতিরিক্ত উপ পরিচালক মোঃ জাফর ইকবাল। জেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে দিনাজপুরে ১৩টি উপজেলায় ১ হাজার ১১ হেক্টর জমিতে এবার টমেটোর আবাদ হয়েছে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬০ হাজার টন।