শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :

নেতাকে যেমন দেখেছি

এ্যাড. ফরিদ আহমেদ
  • প্রকাশিত সময় : সোমবার, ২৬ জুলাই, ২০২১
  • ৭৪৫ পাঠক পড়েছে

দক্ষিন -পশ্চিমাঞ্চলের জনগন হারালো এক শ্রেষ্ঠ সন্তান। গত বৃহস্পতিবার মধ্য রাতে তার মৃত্যুর সংবাদে হাজারো নেতাকর্মী অশ্র“সিক্ত হয়ে নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে। আমাবশ্যার কালো অন্ধকারের মত শোকের ছায়ায় গ্রাস করেছে সমগ্র খুলনা কে। এই অঞ্চলের মাটি মানুষের সুখ দুঃখের মাঝে বেড়ে ওঠা তাদের প্রিয় নেতা, প্রিয় সন্তান, বর্ষীয়ান রাজনীতিবীদ এই অঞ্চলের মানুষের দাবী আদায়ের সংগ্রামের অগ্রনায়ক, ক্রীড়াঙ্গন, সংবাদ পত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রবাদ পুরুষ, রাজপথের সাহসী নেতা এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা এম.পি’র মৃত্যু কাঁদিয়েছে খুলনা কে। এই বর্নাঢ্য রাজনীতিক জীবনে তাঁকে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক সংগ্রামের পথ।

১৯৬৯ সালে দৈনিক পুর্বাঞ্চল সম্পাদক তৎকালীন ছাত্র ইউনিয়ন নেতা আলহাজ্ব লেয়াকত আলীর হাত ধরে ছাত্র ইউনিয়নে একজন সক্রিয় কর্মী হিসাবে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার পক্ষের ছাত্র নেতা হিসাবে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন তাঁকেগ্রেফতার করা হয়েছিলেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে “খুলনা ক্রেকার্স” নামে একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। এছাড়া যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনি’র হাত ধরে তিনি যুবলীগে যোগদান করেন এবং বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শের কর্মী হিসাবে নেতৃত্বের সফলতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন। এরপর ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামাল খুলনা ক্রেকার্স ক্লাবকে বিলুপ্ত করে “খুলনা আবাহনী ক্রীড়াচক্র” প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠা কালীন সময়ে ইলিয়াস আহম্মেদ চৌধুরী কে সভাপতি ও এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস চৌধুরির মৃত্যুর পর থেকে ক্লাবের সভাপতি হিসাবে তিনি আমৃত্যু দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে স্ব-পরিবার হত্যার পর খুলনা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজার সাহসী ভূমিকা তাঁকে নেতৃত্বের উচু আসনে ধাবিত করে। ১৯৭৭ সালে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে খুলনা পৌরসভা নির্বাচনে তৎকালীন লেয়াকত নগর ইউনিয়ন থেকে প্রথম কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। একই সময় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের নব নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকও কমিশনার নির্বাচিত হয়েছিলেন। পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন এ্যাড. এনায়েত আলী। কমিশনারের পাশাপাশি এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা লেয়াকত নগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের এবং তালুকদার আব্দুল খালেক মহাসিনাবাদ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন।

এভাবে তিনি ধাপে ধাপে শহর আওয়ামীলীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিনত হন। আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে মুখে জানা যায়, জিয়া ও এরশাদের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে টুটপাড়া থেকে সুজা ভাইয়ের নেতৃত্বে সরকার বিরোধী মিছিল বের না হলে খুলনা আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে রাজপথে কোন মিছিল বের হতো না। ১৯৮৬ সালে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি থাকা অবস্থায় খুলনা-২ আসন থেকে আওয়ামীলীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করেছিলেন। এরশাদ বিরোধী রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তৎকালীন খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাড. স.ম বাবর আলী আওয়ামীলীগ থেকে বাদ পড়লে জেলা আওয়ামীলীগের নেতৃত্বের শূন্যতা সৃষ্টি হয়।

জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও ১৯৯২ সালের সম্মেলনের মাধ্যমে খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসাবে এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজাকে দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়। সেই থেকে আমৃত্যু তিনি খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে তাঁর সুদক্ষ নেতৃত্বের গুনাবলি দ্বারা নিজেকে দলের কান্ডারী হিসাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরশাদ সরকারের পতনের পর ১৯৯১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে খুলনা-৪ আসনে (রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া) আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর মুসলিমলীগ নেতা খান-এ-সবুর এর ঘাটি হিসাবে পরিচিত এ অঞ্চলে আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী হিসাবে গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ১৯৯৩ সালের ১লা জানুয়ারীতে দৈনিক পাঠকের কাগজ নামে একটি পত্রিকার প্রকাশ করেন। তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভানেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এই পত্রিকাটির উদ্ভোধন করেছিলেন। এই পত্রিকায় নিজস্ব প্রতিবেদক হিসাবে আমাকে তিনি নিয়োগ দান করেন।

দৈনিক পাঠকের কাগজের সংবাদ কর্মী হিসাবে এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা এম.পি’র একান্ত সাহচার্যে যাওয়ার সুযোগ ঘটে আমার। সেই থেকে গত তিন দশকে তাঁর সাথে ঘনিষ্ঠ ভ্রাত্বিতের সম্পর্কের বন্ধন সৃষ্টি হয়। তাকে খুব কাছে থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে খুলনা-৪ আসন থেকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসাবে নির্বাচন করেন। এই নির্বাচনী প্রচারনার সংবাদ সংগ্রহ ও মিডিয়ার প্রকাশনার দায়িত্ব ভার বর্তায় আমার উপর। তার পায়ে পা মিলিয়ে রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া উপজেলার প্রতিটি গ্রাম জনপদে পদচিহ্ন রেখেছিলাম। কত হাজার স্মৃতি কত ভালো লাগার মুহুর্ত গুলো চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে। একদিন নির্বাচন প্রচার কালে এক নেতার বাড়ীতে মধ্যাহ্নভোজের সময় নিজ প্লেটের বড় কৈ মাছটি আমার প্লেটে তুলে দিয়েছিলেন। আমি অবাক হয় নি তিনি এমনি একজন নেতা যিনি প্রতিটি কর্মীকে খুব সহজে আপন করে নিতে পারতেন। এটা ছিল তার নেতৃত্বের অন্যতম গুনাবলি। তিনি শত শত নেতা কর্মীর নাম মনে রাখতে পারতেন। ঐ তিন উপজেলা সহ-খুলনা জেলার অসংখ্য নেতাকর্মীর পারিবারিক খোঁজ খবরও তিনি রাখতেন।

যে কারনে তিনি শুধু রাজনৈতিক নেতাই নয় তাদের পারিবারিক অভিভাবক হিসাবেও পরিনত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তাকে প্রতিমন্ত্রির মর্যাদায় সরকার দলীয় হুইপ নিয়োগ করা হয়। যে রূপসা, তেরখাদা, দিঘলিয়া জনপদের মানুষ স্বপ্নেও ভাবেনি তার বাড়ির পাশের সব পথ পিচ ঢালাই রাস্তায় পরিনত হবে। তিনি হুইপ থাকা কালে অবহেলিত এই অঞ্চলের রাস্তাঘাট ব্রিজ, কালিঘাট, মসজিদ মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেন। যার ফলে তিনি হয়ে ওঠেন এই অঞ্চলের মানুষের কাছে উন্নযনের রূপকার হিসাবে। তিনি অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্ব উদ্দ্যোগে প্রতিষ্ঠা করেন। এর মধ্যে দিঘলিয়া এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা গার্লস কলেজ, সেনহাটি রাশিদা খানম কবর স্থান, এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা জামে মসজিদ, তেরখাদার চিত্রা মহিলা ডিগ্রি কলেজ, এস.এম মোস্তফা রশিদী সুজা দাখিল মাদ্রাসা এবং রূপসা উপজেলায় রূপসা মহিলা কলেজ অন্যতম। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করনে অগ্রনী ভূমিকা পালন করেন। রূপসা এবং দিঘলিয়াকে খুলনা নগরীর সাথে সংযুক্ত করার জন্য নদীর উপর দুইটি ব্রিজ নির্মানের স্বপ্ন দেখে জাতীয় সংসদে দাবী তুলে ছিলেন। দিঘলিয়ার ব্রিজ বাস্তবায়নের পথে।

দীর্ঘ জলবদ্ধতার আক্রান্ত তেরখাদার ভূতিয়ার বিলে পানি নিষ্কাষনের ব্যবস্থা করে তিনি কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছিলেন। এছাড়া রূপসা ব্রিজ, খুলনা বিশ্ব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, আধুনিক রেলষ্টেশন, খুলনা বিমানবন্দর, মোংলাবন্দর সচল ইত্যাদি সহ দক্ষিন -পশ্চিম অঞ্চলের যে কোন উন্নয়নের সাথে তিনি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নিজেকে একজন সফল রাজনৈতিক নেতা হিসাবে সম্পৃক্ত রেখেছিলেন। পাশাপাশি তিনি সাংস্কৃতিক অঙ্গনে নেতৃত্ব দিতেন,আমৃত্যু খুলনা নাট্য নিকেতনের সভাপতি ও ছিলেন। ২০০১ সালে রাজনৈতিক প্রোপট পরিবর্তন হলে জামাত-বিএনপির সরকার মতায় আসে এবং ২০০২ সালের শেষদিকে অপারেশন কিন হাট নামের অভিযানে দুই সহদর সহ তাঁকে গ্রেফতার করে অমানিবিক নির্যাচন চালানো হয়েছিল। হত্যা সহ ডজনখানেক বিভিন্ন মামলায় তাকে পাঠানো হয়েছিল রংপুর কেন্দ্রিয় কারাগারে। ঘনিষ্ট রাজনৈতিক সহকর্মী ও তার নিযুক্ত আইনজীবী হিসাবে রংপুর কারাগারে তাঁর পারিবারকে নিয়ে তাঁর সাথে আমি প্রথম স্বাক্ষাৎ করেছিলাম। কারা অভ্যান্তরে নির্যাতিত নেতাকে দেখার সেই দৃশ্য ও স্মৃতি কখনো ভোলার নয়। দুই জন কয়েদীর কাঁধে ভর করে তিনি যখন আমাদের সামনে আসলেন মুখে দাঁড়ি, চোখে জল, পায়ের নিচে সহ সারা শরীরের আঘাতের যন্ত্রনায় কাতর ছিলেন। সেই নির্যাতনে যে তার শরীরে রোগে দানা বাধল আর সুস্থ হতে পারলেন না। তিনি কয়েক মাস কারাবন্দী থাকার পর সকল মামলা থেকে নির্দোষ প্রমানিত হয়ে প্রিয় খুলনা নগরীতে পদার্পন করেন।

খুলনার ঐতিহাসিক শহীদ হাদিসপার্কে খুলনাবাসী বিশাল বর্নাঢ্য নাগরিক সংবর্ধনা প্রদান করেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক স্পিকার বর্তমান মহামান্য রাষ্ট্রপতি এ্যাড. আব্দুল হামিদ। ২০০৭ সালে ১/১১ সরকার মতা গ্রহনের পর জননেতা মোস্তফা রশিদী সুজার পরিবারের পরে পুনরায় নির্যাতনের খঢ়গ নেমে আসে মিথ্যা ভিত্তিহীন দুর্নীতির মামলার আসামী করা হলে তিনি প্রবাস জীবনে যেতে বাধ্য হয়। ফলে ২০০৮ সালে নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেননি। এই নির্বাচনে আওয়ামীলীগ পুনরায় মতায় আসলে তিনি দেশে ফিলে এসে ঢাকা স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমার্পন করে ঐ দুর্নীতির মামলাকে চ্যালেঞ্চ করেন। ঢাকা আইন জীবীদের সাথে তার ভগ্নিপতি বাগেরহাট সদরের সংসদ সদস্য এ্যাড. শওকত আলী বাদশা এম.পি ও আমি আইনজীবী হিসাবে শুনানীতে অংশ নিয়েছিলাম। পরবর্তীতে তিনি হাইকোর্টে আপিল করে ঐ মামলা থেকে খালাস প্রাপ্ত হন। ২০১৪ সালে ৫ই জানুয়ারী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি পুনরায় খুলনা-৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে সংসদ সদস্য নির্বাচন করেন এবং সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

গত কয়েক বছর তিনি প্রায় অসুস্থ হতে থাকেন দেশ-বিদেশের চিকিৎসা নিতে হয় ২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ধরা পরে তার দুইটি কিডনী ড্যামেজ হওয়ার পথে। তখন নেতার জীবন বাঁচাতে খুলনা জেলা শ্রমিকলীগের সহ-সভাপতি ও শ্রীফলতলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য আলম হাওলাদার তার একটি কিডনীয় দান করেন। গত ১৩ই নভেম্বর সিঙ্গাপুরের ঐ হাসপাতালে সফল অস্ত্রপাচার মাধ্যমে কিডনী প্রতি স্থাপন করা হয়। গত এপ্রিলের ১ম সপ্তাহে তিনি দেশে ফেরেন ৭ই এপ্রিল শহীদ হাদিস পার্কে তিনি কিডনী দাতা, বঙ্গবন্ধু ভ্রাতুষপুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি ও খুলনা বাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সেদিনের হাদিস পার্ক ও পাশ্ববর্তী এলাকা জন সমুদ্রে পরিনত হয়েছিল। প্রিয় নেতা ল মানুষের ভালোবাসার সিক্ত হয়ে তার ধন্যবাদ জ্ঞাপন বক্তব্যে বলেছিলেন “আমার প্রতি আপনাদের এই শ্রদ্ধা ভালোবাসা আমার সারা জীবনের চলার পথের পাথেয় হয়ে থাকবে। আমাকে নিজ গুনে মা করবেন, আমি আপনাদের ভাই বন্ধু সুখ, দুঃখের সাথি হয় থাকতে চাই। মানুষের কল্যান এই অঞ্চলের উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করেছি।” ক্লিনহার্ট অপারেশন নির্যাতনে মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে আসায় খুলনাবাসী তাকে মৃত্যুঞ্জয়ী নেতা হিসাবে সম্মোধন করেছিলেন।

কিন্তু তিনি মৃত্যুকে জয় করতে পারেনি, তিনি জয় করেছেন আমার মত বাংলাদেশের হাজার, লক্ষ নেতা ও কর্মীর হৃদয়। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে কিডনী প্রতিস্থাপনের আগের দিন ১২ নভেম্বর খুলনা বাসীর প্রতি এক খোলা চিঠিতে তিনি যে কথা বলেছিলেন “রূপসা, ভৈরব, আঠারবাকির ঘোলাজল পেরতে পেরতে আমার কথা আপনাদের মনে পড়বে”। সেদিনের খোলা চিঠি পড়ে কত নেতা-কর্মী নিরবে কেঁদেছিল, তা আমার জানা নেই। প্রিয় নেতার এই চীরবিদায়ের সংবাদে আবারো কেঁদেছে খুলনা। অনন্তকাল প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম আপনার রেখে যাওয়া কৃর্তি দ্বারা আপনাকে স্মরন করবে। প্রিয় নেতা, প্রিয় ভাইজান ভালো থাকুন পরপারে- আজ শুধু এই কামনা।

 

নিউজটি শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
© All rights reserved © 2019-2020 । দৈনিক আজকের সংবাদ
Design and Developed by ThemesBazar.Com
SheraWeb.Com_2580