আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীতদের তালিকায় নাম এসেছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। এ বছর মনোনয়ন পেলেন তার জামাতা। আরব-ইসরায়েল সম্পর্ক স্থাপন চুক্তিতে ভূমিকা রাখায় এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন ইভাঙ্কা ট্রাম্পের স্বামী ও সাবেক প্রেসিডেন্টের অন্যতম উপদেষ্টা জ্যারেড কুশনার এবং তার সহযোগী অ্যাভি বারকোউইজ।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন তাদেরই এক বন্ধুপ্রতীম অ্যাটর্নি অ্যালান ডার্শোউইজ। হার্ভার্ড ল’ স্কুলের প্রফেসর এমিরেটাস হওয়ায় এ মনোনায়ন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। ট্রাম্পের প্রথম অভিশংসনে তার পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি ডার্শোউইজ। ক্ষমতাচ্যুত অবস্থায় সাবেক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিশংসন শুনানির প্রয়োজন নেই বলেও দাবি করেছিলেন তিনি।
শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের বিষয়ে নোবেল কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে ডার্শোউইজ আরব-ইসরায়েল শান্তি চুক্তিতে ভূমিকা রাখা ইসরায়েলে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রায়েডম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের সাবেক রাষ্ট্রদূত রন ডরমারের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। নোবেল শান্তি পুরস্কারকে বিতর্কিত উল্লেখ করে ট্রাম্পের সাবেক এ সহযোগী বলেন, এ পুরস্কার জনপ্রিয়তার জন্য নয়। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন তাদের সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ভাবতে পারে, তার মূল্যায়নও নয়। এটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছায় নির্ধারিত ভয়ঙ্কর মানদণ্ড পূরণের পুরস্কার।